Chhatrapati Sambhaji Maharaj Balidan Divas 2024: ওরঙ্গজেব কি নির্মমভাবে খুন করেছিলেন সম্ভাজি মহারাজের? জেনে নিন তাদের সাহসিকতার ইতিহাস!
সিংহের ছেলে সবসময় সিংহ হয়, কথাটি ১০০ শতাংশ সত্য। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের জ্যেষ্ঠ পুত্র ছত্রপতি সম্ভাজি রাজ, যিনি ছিলেন মুঘল সম্রাটদের জন্য বড় হুমকি। সম্ভাজি জন্মগ্রহণ করেন ১৬৫৭ সালের ১৪ মে। মাত্র দুই বছর বয়সে তার মা মারা যান। তিনি তাঁর দাদী এবং ত্রাপতি শিবাজীর মা জিজাবাইয়ের কাছে লালিত-পালিত হন। ঐতিহাসিকদের মতে, সম্ভাজি মুঘল সৈন্যদের সঙ্গে ১২০ টিরও বেশি যুদ্ধ করেছিলেন এবং প্রতিটি যুদ্ধ জয়লাভ করেন। তবে ওরঙ্গজেব বলপ্রয়োগের মাধ্যমে সফল হতে না পারায় প্রতারণার মাধ্যমে সম্ভাজিকে আটক করেন। তাকে দীর্ঘদিন নির্যাতন করার পর ১৬৮৯ সালের ১১ মার্চ হত্যা করা হয় সম্ভাজিকে। তার এই আত্মত্যাগের দিনে জেনে নিন এই সাহসী ব্যক্তির জীবনের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণামূলক কাহিনী।
ভারতীয় ইতিহাসে, ছত্রপতি সম্ভাজি ছিলেন একজন অনন্য এবং অত্যন্ত সাহসী ব্যক্তি। মারাঠা নেতা শিবাজী মহারাজের জ্যেষ্ঠ পুত্র সম্ভাজি তার পিতার সাম্রাজ্যর পাশাপাশি উত্তরাধিকারী ছিলেন তার পিতার সাহসিকতা ও সহনশীলতার। ১৬৮০ সালে শিবাজী মারা যান, পানহালায় বন্দী করা হয় সম্ভাজিকে। শিবাজীর দ্বিতীয় পুত্র রাজারামকে পরানো হয় মুকুট। সম্ভাজি এই খবর পেয়ে কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে পানহালার দুর্গারকে হত্যা করে দখল করেন দুর্গ। সেই বছর ১৮ জুন দখল করা হয় রায়গড় দুর্গও। এরপর ২০ জুলাই মুকুট পরানো হয় সম্ভাজিকে।
সম্ভাজি মহারাজের শাসনকাল ছিল ১৬৫৭ থেকে ১৬৮৯ সাল পর্যন্ত। ১৬৮০ সালে ছত্রপতি শিবাজীর মৃত্যুর পর, বীরত্ব ও সাহসিকতার সঙ্গে মুঘল সম্রাট ওরঙ্গজেবকে চ্যালেঞ্জ করতে শুরু করেন সম্ভাজি। তিনি তার সংক্ষিপ্ত শাসনকালে প্রায় ১২০টি যুদ্ধ করেছিলেন এবং প্রতিটি যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন। কথিত আছে যে তার পিতা শিবাজীর সঙ্গে সম্ভাজির টানাপোড়েনের সম্পর্ক ছিল। তার উপর দায়িত্ব পালন না করা এবং অপ্রয়োজনীয় শখের অভিযোগ ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজ্যের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিজের মতো করে বাস্তবায়ন করতেন সম্ভাজি।
সম্ভাজির সাহসী ও চতুর যুদ্ধনীতির কারণে ক্রমাগত পরাজয়ের কারণে উদ্বিগ্ন ছিলেন মুঘল সম্রাট ওরঙ্গজেব। শিবাজীর দ্বিতীয় পুত্র রাজারামের সমর্থকরা ওরঙ্গজেবের পুত্র আকবরের কাছে একটি চিঠি লিখে তাকে রাজ্য আক্রমণ এবং শাসক হতে সাহায্য করতে বলে। কিন্তু ছত্রপতি সম্ভাজির সাহসিকতা সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত ছিলেন আকবর। তিনি সম্ভাজীকে চিঠি লিখে সব জানিয়ে দেন। বিশ্বাসঘাতকতায় ক্ষুব্ধ হয়ে সমস্ত বিশ্বাসঘাতকদের মৃত্যুদণ্ড দেন সম্ভাজি। ওরঙ্গজেব বলপ্রয়োগ করে জয়লাভ করতে না পারলে প্রতারণার মাধ্যমে আটক করা হয় সম্ভাজিকে। ওরঙ্গজেব সম্ভাজির প্রতি এতটাই ক্ষুব্ধ ছিলেন যে তিনি সম্ভাজির প্রতি নিষ্ঠুরভাবে অত্যাচার করেন। শারীরিক নির্যাতনের পর ১৬৮৯ সালের ১১ মার্চ সম্ভাজিকে হত্যা করেন ওরঙ্গজেব।