Birendra Krishna Bhadra Birthday: তাঁর কন্ঠস্বরের যাদুতে আগমন হত বাঙালির দূর্গাপুজোর, সেই উদাত্ত কণ্ঠের অধিকারী বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের ১১৭তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য

Photo Credit_Twitter

"আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জির"- পংক্তিটি শুনেই নিশ্চয়ই তাঁর কথা মনে পড়ছে? তিনি আর কেউ নন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র । যাঁর ওই দৃপ্ত কণ্ঠস্বর না শুনলে মহালয়ার ভোরটাই সম্পূর্ণ হয়না। দেবীপক্ষের সূচনা বা মা দুর্গার মর্ত্যে আগমনের উত্তেজনা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়না। সেই বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের আজ জন্মদিন। আজ ১১৭ তম জন্মদিনের সকালে কিছু অজানা তথ্য রইল সকলের জন্য।বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র সৃষ্টি 'মহিষাসুরমর্দিনী' অন্যতম কীর্তি। কিন্তু এই অ্যালবাম ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর সেই বিখ্যাত কণ্ঠস্বর শুনেছেন অনেকেই। মহিষাসুরমর্দিনী তৈরির অনেক পূর্বে তাঁকে দেখা গিয়েছিল ফুটবল ম্যাচের ধারাবিবরণী দিতে। তবে সেই কাজ ও কম বিড়ম্বনার ছিল না। খেলাটা তিনি বুঝতেন না তবুও রাইচাঁদ বড়ালের কথায় রাজি হয়েই একপ্রকার তিনি তা শুরু করেন। শুরু হয় তাকে ফুটবল খেলা বোঝানোর কাজ। তবে সেই খেলার শুরুটা ঠিকঠাক হলেও বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয় মাঝপথে এবং তাতে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ বেশ ইতস্তত করতে থাকেন।  এবং তারপর তাঁকে আর এই ফুটবলের ধারাবিবরণী দিতে শোনা যায়নি তবে একথা বলতেই হয় যে বাংলার ফুটবলের ধারাভাষ্যের সূচনা কিন্তু তাঁর ওই দৃপ্তকণ্ঠেই হয়েছিল।

মহিষাসুরমর্দিনী তাঁর গলাতে শুনতে আমরা অভ্যস্ত হলেও তাতেও রদবদল ঘটানো হয়েছিল সত্তরের দশকে। আকাশবাণীর গোপন সভায় তাঁকে বাদ দিয়ে মহানায়কের গলায় সেই অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত নেয় আকাশবাণী। তবে তা চূড়ান্ত ফ্লপ হয়। পরে আবারও সেই দৃপ্ত কণ্ঠধারী বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় তা সম্প্রচারকরা হয় ওই বছরের দুর্গা ষষ্ঠী তে। জানা যায় এই ঘটনায় মহানায়ক নাকি নিজে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। আজ তাঁর জন্মবার্ষিকীতে রইলো শ্রদ্ধাঞ্জলি।