Kanhaiya Kumar: আপ নেতাদের ভিড়ে ঢেকে হাত চিহ্নে দিল্লিতে মনোনয়ন জমা কানহাইয়া কুমারের, জিতবেন কি জেএনইউ-য়ের কানহাইয়া
তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে নামার অনুষ্ঠানিকতা পূর্ণ করলেন কানহাইয়া কুমার। দিল্লি উত্তর পূর্ব আসন থেকে আম আদমি পার্টি সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন কানহাইয়া কুমার।
নতুন দিল্লি, ৬ মে: তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে নামার অনুষ্ঠানিকতা পূর্ণ করলেন কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar)। দিল্লি উত্তর পূর্ব আসন থেকে আম আদমি পার্টি সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন কানহাইয়া কুমার। গতবার সিপিআইয়ের টিকিটে লড়ে বিহারের বেগুসরাইয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের কাছে বেশ বড় ব্যবধানে হেরেছিলেন কানহাইয়া। তবে আরজেডি-র প্রার্থী থাকলেও বিজেপি-র পিছনে দ্বিতীয় হয়ে কানহাইয়া প্রমাণ করেছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মার কথা।
দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম আন্দোলনে যিনি ঝড় তুলে দিয়েছিলেন, বিজেপি যার বিরুদ্ধে দেশবিরোধীর তকমা দিয়েও তেমন সুবিধা করতে পারেননি। এবার কানহাইয়া বাম শিবির ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর প্রথমবার ভোটে লড়তে চলেছেন। এবার রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ সিপিআই ছেড়ে হাত শিবিরে আসা কানাহাইয়া লড়বেন দিল্লি উত্তর পূর্ব আসন থেকে। যে আসন থেকে কানাহাইয়ের প্রতিপক্ষ গত দু বার বিপুল ভোটে জিতেছেন বিজেপি-র ভোজপুরী অভিনেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি মনোজ তিওয়ারি। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ-র সমর্থন থাকায় এবার উত্তর পূর্ব দিল্লিতে লোকসভায় কানহাইয়া-র জেতার সুযোগ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ ২০১৯ লোকসভায়ই মনোজ তিওয়ারি সাড়ে ৩ লক্ষাধিক ভোটে জিতলেও, ২০১৪ লোকসভায় উত্তর পূর্ব দিল্লি কেন্দ্রে কংগ্রেস ও আপের মিলিত ভোট বিজেপির থেকে বেশ কিছুটা বেশী ছিল।
দেখুন ভিডিয়ো
তার ওপর আবার গত দুটি লোকসভায় এই আসনে বিহারী-ইউপি ভোট এক তরফাভাবে মনোজ তিওয়ারির দিকে গেলেও এবার বিহারের ছেলে কানহাইয়া কুমার বাগ বসাবেন। পাশাপশি ছাত্র-যুবদের মধ্যেও তিনি বেশ জনপ্রিয়।
তবে সাংগঠনিক দিক থেকে বিজেপি এই আসনে খুবই শক্তিশালী। আবার ঠিক ভোটের মুখে দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি অমরিন্দর সিং লাভলি দল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ায় সেখানে হাত শিবিরের সংগঠন আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে কানহাইয়া জানেন এবার সংগঠন নয়, এই কঠিন কেন্দ্র থেকে জিতে প্রথমবার লোকসভায় যেতে হলে তাঁকে হাওয়ার ওপরেই তাকিয়ে থাকতে হবে। বিজেপিও অবশ্য হাওয়ার দিকেই তাকিয়ে-মোদী হাওয়া।