Cold Wave In Bihar: তীব্র শৈত্য প্রবাহের কবলে বিহার, আগামী ৫ তারিখ পর্যন্ত স্কুল বন্ধের নির্দেশিকা জারি প্রশাসনের
শীতের কামড়ে (Extreme Cold Wave) একেবারেই জবুথবু বিহার, গত কয়েকদিন ধরেই ক্রমশ পারদ পতন চলছে। হাড় কাঁপানো ঠান্ডার সঙ্গে জুড়েছে ঘন কুয়াশা। বেলা পর্যন্ত দৃশ্যমানতা উধাও হয়েছে। সন্ধে নামলেই ঠান্ডার বেগও বাড়ছে তরতরিয়ে। টানা ১৫ দিন ধরে গোটা বিহারে যে শৈত্য প্রবাহ চলছে তা গত ১০ বছরে প্রত্যক্ষ করেনি রাজ্যবাসী। পরিস্থিতি একেবারে চরমে পৌঁছেছে। এই অবস্থায় বাড়ির বাইরে বেরলে মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত। সবদিক বিচার বিবেচনা করে বিহারে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।
পাটনা, ২ জানুয়ারি: শীতের কামড়ে (Extreme Cold Wave) একেবারেই জবুথবু বিহার, গত কয়েকদিন ধরেই ক্রমশ পারদ পতন চলছে। হাড় কাঁপানো ঠান্ডার সঙ্গে জুড়েছে ঘন কুয়াশা। বেলা পর্যন্ত দৃশ্যমানতা উধাও হয়েছে। সন্ধে নামলেই ঠান্ডার বেগও বাড়ছে তরতরিয়ে। টানা ১৫ দিন ধরে গোটা বিহারে যে শৈত্য প্রবাহ চলছে তা গত ১০ বছরে প্রত্যক্ষ করেনি রাজ্যবাসী। পরিস্থিতি একেবারে চরমে পৌঁছেছে। এই অবস্থায় বাড়ির বাইরে বেরলে মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত। সবদিক বিচার বিবেচনা করে বিহারে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। তীব্র ঠান্ডায় যাতে পড়ুয়াদের স্কুলমুখী না হতে হয় সেজন্য আগামী ৫ তারিখ অর্থাৎ রবিবার পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছেন পাটনার (Patna) জেলাশাসক কুমার রবি।
জানা গিয়েছে, গোটা বিহারের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস এই কয়েকদিন বন্ধই থাকবে। কেননা হাড় কাঁপানো ঠান্ডার কবলে পড়ে পাটনা ও গয়ার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা একেবারে বিপর্যস্ত। রাজধানী পাটনা-সহ রাজ্যের অনেক জায়গায় মঙ্গলবার থেকেই আকশ মেঘলা ছিল। বুধবার গয়া, নওদা, বেগুসরাই-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাতের খবর মিলেছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, ৩১ ডিসেম্বর রাতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা বিহারে প্রবেশ করেছে। যার জেরে এই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী দু’তিন দিনের মধ্যেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব কেটে গিয়ে ফের তাপমাত্রার পারদ আরও বেশ কয়েক ডিগ্রি নামবে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। আরও পড়ুন-Delhi Fire: কাকভোরে আগুনের গ্রাসে রাজধানীর ব্যাটারি কারখানা, বিস্ফোরণের জেরে আটক কর্মীদের উদ্ধারে দমকলের ৩৫টি ইঞ্জিন
এদিকে একে ঠান্ডার কনকনানি, সঙ্গে ঘন কুয়াশায় এমনিতেই চরাচরে অন্ধকারে ডুবেছে। বোঝার উপরে শাকের আঁটির মতো আকাশজুড়ে মেঘের ঘনঘটা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। গোটা বিহারের চেহারা দেখলে মনে হবে প্রাকৃতিক বিপর্যয় জনিত কারণে সেখানে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে।