COVID 19: পৃথক 'ভ্যাকসিন সাইট' থেকে বুস্টারে বয়স্কদের শংসাপত্র অপ্রয়োজনীয়, একগুচ্ছ পদক্ষেপ কেন্দ্রের
স্বাস্থ্য কর্মীদের পাশাপাশি যে সমস্ত সরকারি কর্মীদের ভোটের (Vote) ডিউটি পড়ছে, তাঁদেরও বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর ৯ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে কি না, তা দেখেই ওই ভোট কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে বলে জানান রাকেশ ভূষণ।
দিল্লি, ২৮ ডিসেম্বর: আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে কোভিড টিকা (COVID 19 Vaccine) দেওয়া হবে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের। যাদের বয়স ১৫ থেকে ১৮, তারা টিকা নেওয়ার জন্য ১ জানুয়ারি থেকে কোউইনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবে। এমনই জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে। কোউইনের পাশাপাশি ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য আরও একটি ওয়েবসাইট খোলা হচ্ছে। পাশাপাশি যে টিকাকেন্দ্রে তারা যাবে, সেখানে গিয়েও নিজেদের নাম নথিভুক্ত করা যাবে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। পাশাপাশি যাদের জন্ম ২০০৭ সালে কিংবা তার আগে, তারাও কেন্দ্রের এই টিকাকরণ প্রকল্পের আওতায় আসবে বলে জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাকেশ ভূষণ।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাকেশ ভূষণ। সেখানে তিনি জনান, ৬০ বছর বয়সী কিংবা তার উর্দ্ধদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য চিকিৎসকের কোনও শংসাপত্রের প্রয়োজন নেই। ৬০ বছর এবং তার উর্দ্ধে কোমর্বিডে আক্রান্তদের ক্ষেত্রেও বুস্টারের জন্য কোনও শংসাপত্রের প্রয়োজন নেই বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে।
আরও পড়ুন: COVID 19: ৬০ বছর বয়সীদের বুস্টারে চিকিৎসকদের শংসাপত্র অপ্রয়োজনীয়: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক
স্বাস্থ্য কর্মীদের পাশাপাশি যে সমস্ত সরকারি কর্মীদের ভোটের (Vote) ডিউটি পড়ছে, তাঁদেরও বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর ৯ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে কি না, তা দেখেই ওই ভোট কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে বলে জানান রাকেশ ভূষণ। পাশপাশি দেশের সমস্ত নাগরিককে কোভিড (Coronavirus) টিকা দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কার রোজগার কত, সে বিষয়ে কিছু না দেখেই সরকার এই টিকাকরণ কর্মসূচি চালাবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৫ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) ঘোষণা করেন, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনার টিকা দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরপরই এ বিষয়ে একাধিক পদক্ষেপ করা হয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে।