Coronavirus Cases In India: গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ১৪ হাজার ৯৩৩, দেশে কোভিড রোগীর সংখ্যা ছাড়ালো ৪ লক্ষ ৪০ হাজার

১৭ শতাংশ সুস্থতার হার রয়েছে ভারতে।

ভারতে করোনা (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ২৩ জুন: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত (COVID-19 Case Count) হয়েছেন ১৪ হাজার ৯৩৩ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, দেশে মোট করোনা আক্রান্ত ৪ লক্ষ ৪০ হাজার ২১৫ জন। বিশ্বের মধ্যে করোনা আক্রান্তের নিরিখে ভারত এখন চতুর্থ স্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩১২ জনের। দেশে সবমিলিয়ে করোনার মৃত্যু মিছিলে শামিল ১৪ হাজার ১১ জন। এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ১৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ২ লক্ষ ৪৮ হাজার ১৯০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় গত ২৪ ঘণ্টার তুলনায় দেশে সুস্থতার হার অনেকটাই বেড়েছে। এই মুহূর্তে ৫৬. ১৭ শতাংশ সুস্থতার হার রয়েছে ভারতে।

চলতি বছরেই হতে চলেছে বিহার বিধানসভা নির্বাচন (Bihar Elections 2020)। মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে আসন্ন বিহার ভোটে ব্যালটকেই প্রাধান্য দিল নির্বাচন কমিশন। এই প্রসঙ্গে এক নির্বাচন কমিশন কর্তা বলেন, আগে ইভিএম-এর দৌলতে শুধুমাত্র পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতেন নবতীপর বৃদ্ধ বৃদ্ধা, সেনাবাহিনীতে কর্মরত নাগরিক, নিরাপত্তা কর্মীরা। তবে এবার মহামারীর জেরে সর্বসাধারণের জন্য এবার পোস্টাল ব্যালটেই ভোট। এই প্রসঙ্গে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সরকারি হাসপাতালের তরফে যেসব রোগীকে করোনা আক্রান্ত বলা হবে, তাঁরাই শুধু পোস্টাল ব্যালটের সুবিধা পাবেন। তবে যাঁরা রেড জোনে থাকেন তাঁরা পোস্টাল ব্যালটের সুবিধা পাবেন কি না তানিয়ে নির্বাচন কমিশন মুখ খোলেনি। আরও পড়ুন-Bihar Elections 2020: আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে করোনা আক্রান্তদের ভোট পোস্টাল ব্যালটে, জানালো নির্বাচন কমিশন

তবে সুশীল চন্দ্র জানিয়েছেন, প্রয়োজনে পোলিং অফিসাররা বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ব্যালট পেপার সরবরাহ করবেন। আবার ভোট দেওয়া হয়ে গেলে তা ফিরিয়ে আনবেন। কোভিড আক্রান্ত ভোটাররা ভোট দেওয়ার আবেদন জানাতে পারেন। সেই আবেদন মেনেই হবে ভোট। তবে একবার আবেদন গ্রাহ্য হয়ে গেলে সেই ব্যক্তি আর বুথে এসে ভোট দিতে পারবেন না। এবার থেকে হয়তো আগামী  সমস্ত নির্বাচন ও উপ-নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের ব্যবহার হবে। করোনা মহামারীর কথা মাথায় রেখে সামাজিক দূরত্ব বিধি মানতে হবে। তাই বাড়তে পারে বুথের সংখ্যাও। নতুন করে ৩০ হাজার ভোটগ্রহণ কেন্দ্র বাড়ানো হবে। বর্তমানে এক একেকটি ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ১ হাজার জনের বেশি ভোট দিতে পারবেননা। যেখানে আগে ১৬০০ জনের ভোট দেওয়ার সুবিধা ছিল।



@endif