পেনশন না নিয়ে দান করার সিদ্ধান্ত অরুণ জেটলি-র পরিবারের
দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী প্রয়াত অরুণ জেটলির পরিবার পেনশন নিতে রাজি হলেন না। অরুণ জেটলির পেনশনের টাকা রাজ্যসভার কম পারিশ্রমিকে কাজ করা কর্মীদের দান করার সিদ্ধান্ত নিল তাঁর পরিবার। সদ্য প্রয়াত অরুণ জেটলি দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য়সভার সাংসদ ছিলেন। রাজ্যসভার সব ধরনের কর্মীদের সঙ্গে তাঁর দারুণ সম্পর্ক।
নতুন দিল্লি, ১ অক্টোবর: Arun Jaitley's family declines pension: দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী প্রয়াত অরুণ জেটলির পরিবার পেনশন নিতে রাজি হল না। অরুণ জেটলির পেনশনের টাকা রাজ্যসভার কম পারিশ্রমিকে কাজ করা কর্মীদের দান করার সিদ্ধান্ত নিল তাঁর পরিবার। সদ্য প্রয়াত অরুণ জেটলি দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য়সভার সাংসদ ছিলেন। রাজ্যসভার সব ধরনের কর্মীদের সঙ্গে তাঁর দারুণ সম্পর্ক। বরাবরই দান করায় বিশ্বাসী অরুণ জেটলির অতীতের কথা মনে রেখে পেনশন দান করার সিদ্ধান্ত নিল তাঁর পরিবার।
প্রয়াত অরুণ জেটলির স্ত্রী সঙ্গীতা জেটলি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু-কে চিঠি লিখে জানান, জেটলির যে বকেয়া পেনশন আছে তা তিনি নেবেন না। পরিবর্তে সেই বকেয়া পেনশনের অর্থ যেন রাজ্যসভায় কর্মরত চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীদের দিয়ে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও নিজের এই ইচ্ছার কথা জানান সঙ্গীতা জেটলি। আরও পড়ুন-করতারপুর করিডরের উদ্বোধনে পাকিস্তানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করলেন ডঃ মনমোহন সিং
প্রসঙ্গত, পার্লামেন্ট অ্যাক্ট বা সংসদীয় নিয়ম অনুযায়ী প্রাক্তন সাংসদ অরুণ জেটলি ন্যুনতম মাসিক ২০ হাজার টাকার পেনশন ও পাঁচ বছরের বেশি সময় রাজ্যসভা বা লোকসভার সদস্য থাকায় মাসিক আরও অতিরিক্ত দেড় হাজার টাকার ভাতা পেতেন। ১৯৯৯ সাল থেকে জেটলি রাজ্যসভার সাংসদ। ফলে তিনি অতিরিক্ত ২২,৫০০ টাকা সহ মাসিক ৫০ হাজার টাকার পেনশন পেতেন। তিনি প্রয়াত হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী পেনশনের অর্ধেক অর্থ পাওয়ার কথা। মানে জেটলির স্ত্রী মাসে ২৫ হাজার বা বার্ষিক ৩ লক্ষ টাকা পেতেন। কিন্তু স্বামীকে সম্মান দিয়ে সেই অর্থ না নিয়ে দান করার সিদ্ধান্ত নিলেন স্ত্রী সঙ্গীতা জেটলি। গত ২৪ অগাস্ট দীর্ঘ রোগভোগের পর দিল্লির এইমস-এ প্রয়াত হন অরুণ জেটলি।