Bharat Bandh: আন্দোলনরত কৃষকদের ডেকে পাঠালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সন্ধে ৭টায় হবে বৈঠক

মঙ্গলবার সন্ধ্যে ৭টায় কৃষক ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কৃষি আইনগুলি প্রত্যাহারের দাবিতে আজই ভারত বনধ পালন করে কৃষকেরা। তাঁদের দাবি, এই আইন প্রত্যাহার করা না হলে আন্দোলন জারি থাকবে। একটুও সমঝোতা করতে রাজি নন কৃষকেরা। এই অবস্থায় কৃষকদের চাপে সরকার। তাই আজই কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অমিত শাহ(File Image)

নতুন দিল্লি, ৮ ডিসেম্বর: মঙ্গলবার সন্ধ্যে ৭টায় কৃষক ইউনিয়নগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কৃষি আইনগুলি প্রত্যাহারের দাবিতে আজই ভারত বনধ পালন করে কৃষকেরা (Farmers)। তাঁদের দাবি, এই আইন প্রত্যাহার করা না হলে আন্দোলন জারি থাকবে। একটুও সমঝোতা করতে রাজি নন তাঁরা। এই অবস্থায় কৃষকদের চাপে সরকার। তাই আজই কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের আন্দোলনরত কৃষকদের মধ্যে একজন জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় তাঁদের আলোচনার জন্য ডেকে পাঠিয়েছেন। আজই বৈঠক হবে। তাঁরা সিংঘু বর্ডারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন, সেখান থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরে যাবেন বলে জানান তাঁরা। এই নিয়ে পাঁচবার কৃষক-কেন্দ্র বৈঠক হয়েছে। মেলেনি কোনও রফাসূত্র। বৈঠকে ছিলেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারও। আরও পড়ুন, কৃষি আইনের বিরোধিতায় তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশায় বনধের প্রভাব; স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে ট্রেন লাইন থেকে রাজপথ

চলতি বছরে তিনটি কৃষি আইনের প্রবর্তন করেছে কেন্দ্র। এই আইনগুলির বিরোধিতায় প্রায় ২সপ্তাহ ধরে আন্দোলেন নেমেছেন কৃষকরা। প্রায় তিন মাস ধরে বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন কৃষকরা। প্রথমে পাঞ্জাবের মধ্যেই আন্দোলন সীমাবদ্ধ ছিল। সপ্তাহ দুয়েক আগে তা এসে পৌঁছয়ে রাজধানীতে। দিল্লি-পঞ্জাব এবং দিল্লি-হরিয়ানা সীমানাতেও অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন হাজার হাজার কৃষক। উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ থেকেও দলে দলে কৃষক এসে তাতে যোগ দিয়েছেন।বিক্ষোভ ঠেকাতে লাঠিচার্জ থেকে শুরু করে জলকামান, কোনও কিছুই বাদ রাখেনি পুলিশ। দিল্লির ঠান্ডার মধ্যেও সে সব হজম করে গিয়েছেন কৃষকরা। পুলিশের মোকাবিলা করতে গিয়ে কখনও আন্দোলন হিংসাত্মক আকার ধারণ করেনি। তাই বন্‌ধ কর্মসূচিকে ঘিরে যাতে কোনও রকম অশান্তি দানা না বাঁধে, সে ব্যাপারে সচেতন তাঁরা।