COVID 19: করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ছে শিশুদের, ক্রমশ স্কুল খোলার পরামর্শ এইমস ডিরেক্টরের
স্কুল জীবন ফিরে না পেলে, শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ হচ্ছে না। তাই পরিস্থিতি কিছুটা আয়ত্তে এলে ধাপে ধাপে স্কুল খোলার প্রচাষ্টা করা হোক বলে মন্তব্য করেন গুলেরিয়া।
দিল্লি, ২০ জুলাই: করোনার প্রথম ঢেউ থাবা বসানোর পর থেকেই যেন গোটা দেশ জুড়ে স্বাভাবিক জনজীবন বিপন্ন। কোথাও লকডাউন আবার কোথাও নাইট কার্ফু, করোনার করাল গ্রাস থেকে বেরিয়ে কিছুতেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন না মানুষ। ফলে দোকান,বাজার, শপিং মলের পাশপাাশি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ স্কুলও। ফলে পড়ুয়াদের পঠনপাঠনে যে ব্যাঘাত হচ্ছে, তা বেশ স্পষ্ট। তবে এবার আশার কথা শোনালেন এইমসের ডিরেক্টর (AIIMS Director ) রণদীপ গুলেরিয়া।
তিনি বলেন, দেশের যে সমস্ত জায়গায় সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে, সেখানো এবার ধাপে ধাপে স্কুল খোলা যায়। যে সমস্ত এলাকায় সংক্রমণ ৫ শতাংশের কম, সেখানে এবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে স্কুল খোলা হোক আস্তে আস্তে।
স্কুল জীবন ফিরে না পেলে, শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ হচ্ছে না। তাই পরিস্থিতি কিছুটা আয়ত্তে এলে ধাপে ধাপে স্কুল (School) খোলার প্রচাষ্টা করা হোক বলে মন্তব্য করেন গুলেরিয়া (Dr Randeep Guleria)। তবে স্কুল খোলার পর সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে, সঙ্গে সঙ্গে তা বন্ধ করে দিতে হবে বলেও জানান এইমসের ডিরেক্টর। এসবের পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, দেশের বহু শিশু করোনা রোগীদের সংস্পর্শে এসেছে। ফলে তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে স্বাভাবিকভাবেই।
অনলাইনে ক্লাস চললেও, দেশের এমন বহু এলাকা রয়েছে, যেখানকার শিশুরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পড়াশোনার সুযোগ থেকে বঞ্ছিত। ফলে সেই সব শিশুদের কথা মাথায় রেখে এবার স্কুল খোলার প্রক্রিয়ায় ধীরে ধীরে এগোতে হবে বলেও মনে করেন গুলেরিয়া।
প্রসঙ্গত করোনা (Corona) দেশ জুড়ে থাবা বসানোর পর, চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে গোটা দেশে বন্ধ স্কুল, কলেজ। ফলে ব্যাহত পড়ুয়াদের স্বাভাবিক পঠন পাঠনও।