Guwahati: ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গুয়াহাটিতে CBI-এর হাতে ধৃত রেলওয়ে ম্যানেজার-সহ ৭

ধৃতরা হল, গুয়াহাটির এডিআরএম জিতেন্দ্র পাল সিং, ঠিকাদার শ্যামল কুমার দেব, সরকারি কর্মচারী হরি ওম, তার গাড়ি চালক যোগেন্দ্র কুমার সিং, হাওয়ালা দোকানের ক্যাশিয়ার দিলাবার খান, ওই দোকানের মালিক বিনোদ কুমার সিংহল ওরফে মুকেশ এবং হাওয়ালা ক্যাশিয়ার সঞ্জিত রায়।

প্রতীকী ছবি

গুয়াহাটি: ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ (Bribe) নেওয়ার অভিযোগে রবিবার গুয়াহাটিতে (Guwahati) সিবিআই (Central Bureau of Investigation) গ্রেফতার (arrest) করল সাতজনকে। তাদের মধ্যে একজন গুয়াহাটিতে নিযুক্ত ভারতীয় রেলওয়ের (Indian Railway) অ্যাডিশনাল ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (Additional Divisional Railway Manager) ও আরেকজন রয়েছে হাওয়ালা অপারেটর (Hawala operator)। ধৃতদের কাছ থেকে ৪৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

ধৃতরা হল, গুয়াহাটির এডিআরএম জিতেন্দ্র পাল সিং, ঠিকাদার শ্যামল কুমার দেব, সরকারি কর্মচারী হরি ওম, তার গাড়ি চালক যোগেন্দ্র কুমার সিং, হাওয়ালা দোকানের ক্যাশিয়ার দিলাবার খান, ওই দোকানের মালিক বিনোদ কুমার সিংহল ওরফে মুকেশ এবং হাওয়ালা ক্যাশিয়ার সঞ্জিত রায়।

সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, ধৃতরা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে তার মাধ্যমে বেসরকারি ঠিকাদারদের থেকে ঘুষ নিত। এর বদলে তাদের কোনও অর্ডার পেতে সাহায্য করার পাশাপাশি মেজরমেন্ট বুক তৈরির প্রস্তুতিতে সাহায্য করত। রানিং অ্যাকাউন্ট বিলগুলির টাকা ক্লিয়ার করতে ও বকেয়া বিলের টাকা মেটাতে সহযোগিতা করত। মোটামুটিভাবে উত্তর-পূর্ব রেলওয়েতে যে কোনও বিষয়ে টাকার বিনিময়ে কাজ পেত ওই ঠিকাদাররা।

নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পরিকাঠামো সংক্রান্ত দপ্তরের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার থাকার সময় থেকেই বিভিন্ন ঠিকাদারের থেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জিতেন্দ্র পাল সিংয়ের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে নজরে রাখার পর সম্প্রতি একটি ফাঁদ পাতে সিবিআই। ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ দেওয়া হয় অভিযুক্তদের। তারপরই একে একে গ্রেফতার হল সাতজন।

নয়াদিল্লি, নারোরা, গুয়াহাটি, শিলিগুড়ি ও আলিগড়ে থাকা সিং ও অন্যদের আস্তানায় হানা দিয়ে তদন্তকারীরা ৪৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও পাওয়া গেছে কয়েকটি ল্যাপটপ ও কিছু কাগজপত্র। আরও পড়ুন: Maharani Tulsibati: মহারানী তুলসীবতীর পূর্ণাবয়ব মূর্তির পর্দা উন্মোচন করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী