গাড়ি শিল্পে মন্দার মেঘ ঘনীভূত, লোকসান কমাতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য উৎপাদন বন্ধ করল অশোক লেল্যান্ড

ভারতীয় অর্থনীতিতে আশঙ্কার মেঘ একেবারে ঘূর্ণাবর্তের আকার নিয়েছে। সোমবার বিকেলে দেশের অন্যতম বৃহৎ ট্রাক উৎপাদক সংস্থা অশোক লেল্যান্ড (Automaker Ashok Leyland) জানিয়ে দিল, গোটা দেশে তাদের বিভিন্ন কারখানায় দীর্ঘ সময় উৎপাদন বন্ধ থাকবে। উত্তরাখণ্ডের পন্থনগরের কারখানা বন্ধ থাকবে ১৮ দিন। চেন্নাইয়ের কারখানায় ১৬ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকবে

লেল্যান্ডের ট্রাক(Photo from Company Website)

গাড়ি শিল্পে মন্দার বাজার বেশ জাঁকিয়ে বসেছে। দুমাসে বেহাল দশা নিয়েই কাজ করে চলেছে বিভিন্ন গাড়ি প্রস্তুত কারক সংস্থাগুলি। দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো কতটা শক্তপোক্ত থাকবে তা অনেকটাই নির্ভর করে গাড়ি শিল্পের উপরে। কেননা দেশের গড় জাতীয় উৎপাদনের সাত শতাংশই আসে যে শিল্প থেকে। কিন্তু সেই গাড়ি শিল্পই এখন বিপর্যয়ের মুখে তাতে করে বেশ বোঝা যাচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতিতে আশঙ্কার মেঘ একেবারে ঘূর্ণাবর্তের আকার নিয়েছে। সোমবার বিকেলে দেশের অন্যতম বৃহৎ ট্রাক উৎপাদক সংস্থা অশোক লেল্যান্ড (Automaker Ashok Leyland) জানিয়ে দিল,  গোটা দেশে তাদের বিভিন্ন কারখানায় দীর্ঘ সময় উৎপাদন বন্ধ থাকবে। উত্তরাখণ্ডের পন্থনগরের কারখানা বন্ধ থাকবে ১৮ দিন। চেন্নাইয়ের কারখানায় ১৬ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকবে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত আগস্টেই ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য চার চাকার গাড়ি বিক্রি ৪১ শতাংশ কমে গিয়েছে। একই ভাবে কমে গিয়েছে ট্রাকের বিক্রিও। শেষপর্যন্ত পুঁজি বাঁচাতে উৎপাদন থেকে সরে এল লেল্যান্ডের মতো ট্রাক প্রস্তুত কারক সংস্থা। এদিকে ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশনের রিপোর্ট বলছে, টু হুইলার গাড়ি তথা স্কুটার, মোটর সাইকেল বিক্রি আগের বছরের তুলনায় ৩১.৫৭ শতাংশ কমে গিয়েছে। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ২ লক্ষ ৮৭ হাজার টু হুইলার বিক্রি হয়েছিল গোটা দেশে। সেই তুলনায় গত মাসে ১ লক্ষ ৯৭ হাজার টু হুইলার বিক্রি হয়েছে। তবে যাত্রিবাহী গাড়ির বিক্রিতে সব থেকে বেশি ধাক্কা লেগেছে। আরও পড়ুন-বিক্রিবাট্টা নেই, মন্দার খাঁড়া থেকে বাঁচতে ৩ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই মারুতি সুজুকির

মূলত ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করা গাড়ির বিক্রি হঠাৎ করেই পড়ে গিয়েছে। কিন্তু এভাবে গাড়ির বিক্রি পড়ে যাওয়ার কারণটা কী, একটু ভাবলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। কেন না মানুষের কাছে টাকা নেই. কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। কর্মক্ষেত্রে ছাঁটাইয়ের পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে চাকরি হারানোর ভয়ে কেউ গচ্ছিত অর্থ খরচ করতে রাজি নয়। সব থেকে বিপাকে মধ্যবিত্ত তাইতো গাড়ি শিল্পে মধ্যবিত্ত ক্রেতা হঠাৎ করেই উধাও হয়েছে।