Suicide Capsule:সুইজারল্যান্ডে ‘সুইসাইড ক্যাপসুল’ ব্যবহার করে মৃত্যু, আটক বহু
সুইজারল্যান্ডে এই ক্যাপসুল ব্যবহারের অনুমোদন রয়েছে। ২০২১ সালে ‘সার্কো’ ক্যাপসুল ব্যবহারের অনুমোদন দেয় সুইস সরকার। তবে তার জন্য বেশকিছু আইনগত নিয়মাবলী রয়েছে।
নয়াদিল্লিঃ সুইজারল্যান্ডে(Switzerland) 'সুইসাইড ক্যাপসুল(Suicide Capsule)' ব্যবহার করে এক মহিলার মৃত্যু। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর। সুইজারল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের পুলিশের তরফে জানানো হয়, আত্মহত্যায়(Suicide) প্ররোচনা ও সহায়তার কারণে কয়েকজনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই 'সুইসাইড ক্যাপসুল' স্বেচ্ছামৃত্যুর একটি উপায়। এর নাম দেওয়া হয়েছে 'সার্কো(Sarco)।' ক্যাপসুলের আকারে গড়া হয়েছে এটিকে। নেদারল্যান্ডসের চিকিৎসক ফিলিপ নিৎস্কি ও তার সংস্থা এক্সিট ইন্টারন্যাশনাল এটি তৈরি করেছে। এই ক্যাপসুলের মধ্যে শুয়ে 'ডেথ বটন' প্রেস করার সঙ্গে-সঙ্গে শরীরের মধ্যে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে আসে এবং নাইট্রোজেনের আধিক্য বাড়ে। অক্সিজেনের অভাব এবং অধিক নাইট্রোজেনের কারণে দম বন্ধ হয়ে আসে। ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যবহারকারীর মৃত্যু ঘটে। দীর্ঘদিন ধরে কঠিন অসুখে ভুগতে-ভুগতে যাঁদের বাঁচার ইচ্ছে প্রায় শেষ, শরীরও আর সায় দেয় না, তাঁদের জন্য অন্যতম মুক্তির পথ এই ক্যাপসুল। মূলত তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এই বিশেষ যন্ত্র তৈরি করা হয়েছে। তবে চাইলেই এই বিশেষ ক্যাপসুল ব্যবহার করা যায় না। শুধুমাত্র যেসব দেশে আত্মহত্যা বৈধ সেখানেই এই ক্যাপসুল ব্যবহার করার অধিকার আছে। সুইজারল্যান্ডে এই ক্যাপসুল ব্যবহারের অনুমোদন রয়েছে। ২০২১ সালে ‘সার্কো’ ক্যাপসুল ব্যবহারের অনুমোদন দেয় সুইস সরকার। তবে তার জন্য বেশকিছু আইনগত নিয়মাবলী রয়েছে।
সুইজারল্যান্ডে ‘সুইসাইড ক্যাপসুল’ ব্যবহার করে মৃত্যু