Gaza Truce Israel Hamas War: সংঘর্ষবিরতি বেড়ে অষ্টম দিনে, আরও ৬ ইজরায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি হামাসের

দুনিয়া জুড়ে প্য়ালেস্টাইনপন্থীরা গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে বড় আন্দোলন করছিলেন। অনেক দাবি খারিজের পর অবশেষে টানা ৪৭ দিন গাজায় বোমা বর্ষণের পর গত শুক্রবার থেকে হামাসের সঙ্গে চারদিনের সংঘর্ষ বিরতিতে যায় ইজরায়েল।

Gaza Devastation (Photo Credit: Twitter)

একটা সময় যুদ্ধবিরতি বা সংঘর্ষবিরতিতে যেতে কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না ইজরায়েল। দুনিয়া জুড়ে প্য়ালেস্টাইনপন্থীরা গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে বড় আন্দোলন করছিলেন। অনেক দাবি খারিজের পর অবশেষে টানা ৪৭ দিন গাজায় বোমা বর্ষণের পর গত শুক্রবার থেকে হামাসের সঙ্গে চারদিনের সংঘর্ষ বিরতিতে যায় ইজরায়েল। এরপর থেকে চুক্তি মত গত ৭ অক্টোবর সীমান্ত টপকে মাথায় বন্দুক ধরে পণবন্দি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া ইজরায়েলি ও বিদেশীদের মুক্তি করছে হামাস।পাল্টা তাদের দেশে আটকা থাকা হামাস ও প্যালেস্টাইনের জঙ্গি/স্বাধীনতা সংগ্রামীদেরও মুক্তি দিচ্ছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু-এর দেশ।

সংঘর্ষবিরতি হওয়ায় আমেরিকা, আরব দুনিয়া সহ গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মানবিক সাহায্য পৌঁছতে শুরু করে গাজায়। খাবার, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, ওষুধ পেয়ে রক্তাক্ত গাজা অক্সিজেন পেয়ে স্বস্তি পাচ্ছে। গত সোমবার চার দিনের সংঘর্ষবিরতি শেষ হয়। কিন্তু দু পক্ষের আলোচনার পর আরও দু দিন বাড়ানো হয় সংঘর্ষবিরতি। জারি থাকা পণবন্দি ও বন্দি প্রত্যাপর্ণ চুক্তি। এরপর সবাইকে স্বস্তি দিয়ে বাড়ছে সংঘর্ষবিরতি। সংঘর্ষবিরতি বাড়া নিয়ে ইজরায়েল সরকারের শর্ত ছিল, রোজ তাদের ১০ জন করে পণবন্দিদের মুক্তি দিলে আরও অন্তত দশদিন তারা চুপ থাকবে। হামাস সেই শর্তে মোটের ওপর রাজি হয়েছিল খবর। গতকাল, বৃহস্পতিবার রাতে ইজরায়েলের ৬ পণবন্দিদের মুক্তি দেয় হামাস। অন্যদিকে, ৩০ জন প্যালেস্টাইন বন্দিকে মুক্তি দিল ইজরায়েল। আপাতত এভাবেই সংঘর্ষবিরতি চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। আরও পড়ুন-'নিজ্জর খুনের তদন্তে আরও বেশি করে সহযোগিতা করুক ভারত', দাবি ট্রুডোর

তবে যুদ্ধবিরতির মাঝেও বিক্ষিপ্ত আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ চলছেই। গতকাল, জেরুজালামে এক বাসস্টপে এক আততায়ী আচমকা বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। তার সঙ্গে হামাসের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে বলে প্রমাণ দিয়েছে ইজরায়েল। আবার হামাসের অভিযোগ যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে জেনিনে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলের বাহিনী।

অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের মাঝে স্বস্তি সত্যি বিরতিতেই, যুদ্ধবিরতি। কিন্তু বিরতির আশঙ্কা একটাই। বিরতি মানেই একটা সময় শেষ হবে। তারপর? বিরতির পর ফিরে আসছি, কথাটা আর শুনতে চায় না বিশ্ব। ঠিক যেমন শুনতে চায় না, জঙ্গিদের আক্রমণের খবর।