Missile Attack At Baghdad: রাত পেরোতেই বাগদাদের গ্রিন জোনে ফের জোড়া রকেট ছুড়ল ইরান

মার্কিন ড্রোন হানায় প্রাণ গিয়েছিল ইরানের সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেমানি (Kasem Solemani)। তাই তাঁর হত্যার প্রতিশোধ নিতে পর পর হামলা করেই চলেছে ইরান (Iran)। গত মঙ্গলবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে তাঁরা ইরাকে থাকা মার্কিন বাহিনীর ঘাঁটি ধূলিসাৎ করে দেয়। যাতে প্রাণ হারান ৮০ জনেরও বেশি মানুষ। এবার হামলার পর রাত পেরোতে না পেরতে ফের বাগদাদে হামলা চালাল ইরান। গত বুধবার বাগদাদের গ্রিন জোন এলাকায় দু’টি রকেট বিস্ফোরণ ঘটায় তেহরান। তবে এই হামলায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।

ইরানের মিসাইল হামলা (Photo: ANI)

বাগদাদ, ৯ জানুয়ারি: মার্কিন ড্রোন হানায় প্রাণ গিয়েছিল ইরানের সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেমানি (Kasem Solemani)। তাই তাঁর হত্যার প্রতিশোধ নিতে পর পর হামলা করেই চলেছে ইরান (Iran)। গত মঙ্গলবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে তাঁরা ইরাকে থাকা মার্কিন বাহিনীর ঘাঁটি ধূলিসাৎ করে দেয়। যাতে প্রাণ হারান ৮০ জনেরও বেশি মানুষ। এবার হামলার পর রাত পেরোতে না পেরতে ফের বাগদাদে হামলা চালাল ইরান। গত বুধবার বাগদাদের গ্রিন জোন এলাকায় দু’টি রকেট বিস্ফোরণ ঘটায় তেহরান। তবে এই হামলায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।

বাগদাদের গ্রিন জোনেই (Baghdad's Green Zone) মার্কিন দূতাবাস-সহ পাশ্চাত্যের অনেক দেশেরই দূতাবাস ও ব্যবসায়িক কেন্দ্র রয়েছে। বুধবার মধ্যরাতে সেই গ্রিন জোনেই পর পর দু’টি রকেট বিস্ফোরণের শব্দ পান স্থানীয়রা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার পরেই নিরাপত্তা বাহিনীর সাইরেন বাজানো হয়। গোটা এলাকা কার্যত নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। ইকোনমিক্স টাইমসের খবর অনুযায়ী,  মঙ্গলবারই ইরাকের (Irak) সেনা ঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ওই ঘাঁটিতে আমেরিকা-সহ একাধিক দেশের যৌথ সেনাবাহিনী রয়েছে। ইরানের ওই হামলায় কেউ প্রাণ হারায়নি বলেই দাবি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে বুধবারের রকেট হামলা নিয়ে হোয়াইট হাউস এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। গত শুক্রবার বাগদাদ বিমাবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেমানি। তারপর থেকেই প্রতিশোধের আগুনে ফুঁসছে ইরান। ওই মার্কিন হামলাতেই নিহত হয়েছিলেন ইরাকের কমান্ডার আবু মাহদি আল মুহান্দিস। মুহান্দিস ইরাকের সশস্ত্র বাহিনী হাশেদ আল শাবি-র প্রধান ছিলেন। কিন্তু এই বাহিনীর সঙ্গে ইরানের সমঝোতা ছিল। তাই এই বাহিনী এবং মুহান্দিসের অনুগামীরাও বদলার হুমকি দিয়ে রেখেছে। ফলে আরও হামলার আশঙ্কা রয়েছে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। গত শুক্রবার ভোররাতে মার্কিন হানায় জেনারেল কাসেম সোলেমানি খুনের পরের দিনই জামকরন মসজিদে ‘যুদ্ধ নিশান’ লাল পতাকা উড়িয়েছিল ইরান। হুমকি, পাল্টা-হুমকি চলছিলই। এরই মধ্যে কাল মাঝরাতে ইরাকের দু’টি মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ডজনেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম বলেছিল— ‘৮০ মার্কিন জঙ্গি খতম।’ আরও পড়ুন: Donald Trump: ‘ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মার্কিন সেনার কোনও ক্ষতি হয়নি, সবাই সুস্থ আছে’, কী বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?(দেখুন ভিডিও)

প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প (Donald Trump) গত কালই টুইট (Tweet) করেছিলেন, ‘অল ইজ় ওয়েল। ক্ষয়ক্ষতি কী হয়েছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ আজ হোয়াইট হাউসে তিনি দাবি করলেন, ‘‘আমাদের একজন সেনাও মারা যায়নি। তবে পরমাণু চুক্তির সময়ে কোটি কোটি ডলার নিয়ে আমাদের উপরেই ওরা যেভাবে হামলা চালাল, তা বরদাস্ত করা হবে না। নিষেধাজ্ঞা থাকবেই, যত দিন না ওরা শোধরাচ্ছে।’’

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now