Earth’s Inner Core: পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ স্তর ২০০৯ সালে গতি থামিয়ে বিপরীত দিকে মোড় নিয়েছে, দাবি চিনা গবেষকদের 

পৃথিবীর অভ্যন্তরটি ক্রাস্ট, ম্যান্টল এবং কোর বা কেন্দ্র তিনটি ভাগে বিভক্ত। যাদের মধ্যে কোর বা কেন্দ্র হল পৃথিবীর সবচেয়ে অভ্যন্তরীণ স্তর। এই স্তরের ব্যাসার্ধ ৩৫০০ কিমি। লোহা, নিকেল দিয়ে গঠিত পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ স্তর।

Earth (Photo Credits: Pixabay)

আপনি কি জানেন পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ স্তর পৃথিবীর (Earth’s Inner Core) বিপরীত দিকে ঘুরছে! অনেকেই হয়তো জানেন না ক্রমশ চলমান পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ স্তর ২০০৯ সালে তার গতি থামিয়ে দিয়েছিল। আর সেই থেকেই বিপরীত দিকে মোড় নিয়ে ঘুরছে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ স্তরটি। সোমবার চিনা গবেষকরা এমনই তথ্য প্রকাশ করেছেন।

পৃথিবীর অভ্যন্তরটি ক্রাস্ট, ম্যান্টল এবং কোর বা কেন্দ্র তিনটি ভাগে বিভক্ত। যাদের মধ্যে কোর বা কেন্দ্র হল পৃথিবীর সবচেয়ে অভ্যন্তরীণ স্তর (Earth’s Inner Core)। এই স্তরের ব্যাসার্ধ ৩৫০০ কিমি। লোহা, নিকেল দিয়ে গঠিত পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ স্তর। আমরা পৃথিবীর যে পৃষ্ঠে বাস করি তার ৫০০০ কিমি বা ৩১০০ মাইল নীচে স্বাধীন ভাবে ঘুরছে সেই স্তরটি। ২০০৯ সাল অবধি যা পৃথিবীর সঙ্গেই একই দিকে চলমান ছিল। কিন্তু ২০০৯ সালে অভ্যন্তরীণ স্তর তার গতি থামিয়ে দেয়। সেই থেকেই তা বিপরীত মোড়ে ঘুরছে।

তবে ঠিক কীভাবে এই অভ্যন্তরীণ স্তর (Earth’s Inner Core) ঘোরে তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। এই স্তর সম্পর্ক খুব কমই জানা যায়। ভূমিকম্পের তরঙ্গের পরিমাপ করার মাধ্যমে এই স্তরের বিষয়ে জানা যায়। কারণ পৃথিবীর মাঝখান দিয়েই ভূমিকম্প বা পারমাণবিক বিস্ফোরণ সৃষ্টি হয়। ভূমিকম্প নিয়ে চর্চার সময়েই পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ স্তরের গতিবিধি সম্পর্কে জানা যায়।

চিনের দুই গবেষক সোমবার দাবি করেছেন, তাঁরা গবেষণায় দেখেছেন পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ স্তর (Earth’s Inner Core) ২০০৯ সালের দিকে থেমে গিয়েছিল। এবং তারপর থেকে বিপরীত মোড় নিয়েছে। প্রতি ৩৫ বছর অন্তর এটি তার দিক পরিবর্তন করে। পূর্বে ১৯৭০ সালের গড়ার দিকে এটি দিক পরিবর্তন করেছিল। গবেষকরা এও অনুমান করেছেন, এরপর আবার ২০৪০ সালে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ স্তরটির গতির পরিবর্তন ঘটবে।



@endif