Sheikh Hasina On CAA: ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও সিএএ 'অপ্রয়োজনীয়', মতপ্রকাশ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

এবার নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন নিয়ে মুখ খুললেন প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিদেশমন্ত্রী একে আব্দুল মেমন। গালফ নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষ্যাৎকারে সিএএ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন,"আমরা বুঝিনি কেন ভারত সরকার এটি করল। এটি অপ্রয়োজনীয়।" তিনি আরও বলেছেন যদিও এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় তবুও এটি অপ্রয়োজনীয় বলেই আমার মনে হয়।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Picture Credits: ANI)

নতুন দিল্লি, ১৯ জানুয়ারি: এবার নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন (CAA) নিয়ে মুখ খুললেন প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Sheikh Hasina) এবং বিদেশমন্ত্রী একে আব্দুল মেমন (A K Abdul Memon)। গালফ নিউজকে (Gulf News) দেওয়া একটি সাক্ষ্যাৎকারে সিএএ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন,"আমরা বুঝিনি কেন ভারত সরকার এই কাজটি করল। সিএএ অপ্রয়োজনীয়।" তিনি আরও বলেছেন যদিও এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় তবুও এটি অপ্রয়োজনীয় বলেই আমার মনে হয়।

তিনি আরও জানিয়েছেন,"বাংলাদেশ সিএএ এবং এনআরসির মত ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামায় নি। ভারত সরকারও সবসময় চেষ্টা করেছে এনআরসি এবং সিএএ-র প্রভাব যেন আমাদের দেশে না পড়ে। যখন আমি দিল্লি গেছিলাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তখনই আমায় একথা জানিয়েছিলেন।" আরও পড়ুন, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন বিশ্বের ক্ষুদ্রতম পুরুষ খগেন্দ্র থাপা মাগার

বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মেমনও বলেছেন এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় , কিন্তু এটি দেশের মধ্যে একটি চিন্তার বিষয়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে। "আমরা ভারতের প্রথম বন্ধু রাষ্ট্র। তারা আমাদের বারবার আশ্বস্ত করেছে ভারতের নিরাপত্তার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা ভয় পাচ্ছি, যদি ভারতে কিছু ঘটে তবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিরও ক্ষতি হবে। এটি খুবই চিন্তার বিষয়।আমরা আশা করি পরিস্থিতি শান্ত থাকবে। ভারত এটি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে।" ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী এসেছেন এমন কোনও অসুবিধে তাদের দেশে নেই বলেই জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে অমুসলিম অবৈধ অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্বের অ্যাক্সেস দিয়ে ভারতের নাগরিকত্ব আইনে একটি ধর্মীয় উপাদান আনার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে মত বিভিন্ন মহলে। যেখানে অনেক সম্প্রদায়ই বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে অভিবাসনের ফলে হুমকি বোধ করছেন। লোকসভার পর রাজ্যসভায় বিলটি পাস হয়। ১২ ডিসেম্বর বিলটিতে শিলমোহর দেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ।