West Bengal Budget 2020: রাজ্যজুড়ে প্রায় তিন লক্ষাধিক চা-শ্রমিককে স্থায়ী বাসস্থান দিতে ‘চা-সুন্দরী’ প্রকল্পের ঘোষণা অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের

রাজ্য বাজেটে (West Bengal Budget 2020) আরও এক চমক। অমিতের বাজেটে আরও এক চমক দিল ‘চা-সুন্দরী (Cha Sundaree)।’ চা শ্রমিকদের জন্য বানানো এই প্রকল্প। রাজ্যজুড়ে প্রায় তিন লক্ষাধিক চা-শ্রমিককে স্থায়ী বাসস্থান দিতে ‘চা-সুন্দরী’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী (Finance Minister)। ‌অমিত মিত্র (Amit Mitra) এদিন বলেন, 'রাজ্যে প্রায় ৩৭০টি চা বাগান আছে। সেখানে তিন লক্ষাধিক চা-শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে ৫০ শতাংশই মহিলা। এই চা-শ্রমিকদের বেশিরভাগই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁদের বেশিরভাগেরই মাথা গোঁজার জায়গা নেই। ‘চা-সুন্দরী’ প্রকল্পের আওতায় আগামী তিন বছর রাজ্য সরকার চা-বাগানে স্থায়ীভাবে কর্মরত গৃহহীন শ্রমিকদের আবাসনের ব্যবস্থা করবে। তার জন্য আগামী অর্থবর্ষে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা প্রস্তাব করা হয়েছে।'

অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র (Photo Credit: Twitter)

কলকাতা, ১০ ফেব্রুয়ারি: রাজ্য বাজেটে (West Bengal Budget 2020) আরও এক চমক। অমিতের বাজেটে আরও এক চমক দিল ‘চা-সুন্দরী (Cha Sundaree)।’ চা শ্রমিকদের জন্য বানানো এই প্রকল্প। রাজ্যজুড়ে প্রায় তিন লক্ষাধিক চা-শ্রমিককে স্থায়ী বাসস্থান দিতে ‘চা-সুন্দরী’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী (Finance Minister)। ‌অমিত মিত্র (Amit Mitra) এদিন বলেন, 'রাজ্যে প্রায় ৩৭০টি চা বাগান আছে। সেখানে তিন লক্ষাধিক চা-শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে ৫০ শতাংশই মহিলা। এই চা-শ্রমিকদের বেশিরভাগই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁদের বেশিরভাগেরই মাথা গোঁজার জায়গা নেই। ‘চা-সুন্দরী’ প্রকল্পের আওতায় আগামী তিন বছর রাজ্য সরকার চা-বাগানে স্থায়ীভাবে কর্মরত গৃহহীন শ্রমিকদের আবাসনের ব্যবস্থা করবে। তার জন্য আগামী অর্থবর্ষে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা প্রস্তাব করা হয়েছে।'

২০১৯-এ যখন রাজ্য বাজেট পেশ হচ্ছে তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির (CM Mamata Banerjee) মাথায় ঘুরছিল ‘৪২-এ-৪২’। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে বছর ঘুরে গেল, আর হাতে মাত্র আটটা মাস, তারপরেই বিধানসভা নির্বাচন। আদৌ সরকারে ফিরতে পারবেন কি না জানা নেই। তাই এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যে জনমোহিনী রাজ্য পাজেট পেশ করবেন তা বলাই বাহুল্য। বাজেট পেশের সভা শুরুর আগে সকলেরই নজর ছিল ঠিক কী কী বলতে পারেন অর্থমন্ত্রী। শুধু বিরোধীরাই নয়, দলীয় কর্মীরাও অধীর আগ্রহে চমকের অপেক্ষা করছিলেন। সেই অপেক্ষার অবসান করে অর্থমন্ত্রী যে বাজেট এখনও বিধানসভায় পেশ করে চলেছেন সেই বাজেট সত্যিই যে জনমোহিনী তা এক বাক্যে বলা যায়। কারণ একের পর এক যা প্রকল্পের কথা তিনি ঘোষণা করে চলেছেন তা নিতান্তই সাধারণ মধ্যবিত্তদের জন্য। এখনও পর্যন্ত যা ঘোষণা হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে, রাজ্যে বেকারত্বের (Unemployment) হার আরও কমাতে এবারের রাজ্য বাজেটে 'বাংলাশ্রী (Bhanglashree)', 'কর্মসাথী (Karma Saathee)'-র মত বেকারত্ব দূরীকরণমূলক প্রকল্পের দাওয়াই দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তফশিলিদের সামাজিক সুরক্ষায় বিশেষ প্রকল্পে মাসে ১০০০ টাকা বার্ধক্য ভাতা চালু করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। এ জন্য বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা। চা বাগানগুলিতে আয়কর সম্পূর্ণ মকুব করা হচ্ছে। পারিবারিক জমি একত্রিত করার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি ৪.৫% থেকে কমিয়ে ০.৫% করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী দু’বছরে রাজ্যে আরও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে। আগামী অর্থবর্ষে এ জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কৃষি আয়কর সম্পূর্ণ ছাড়ের প্রস্তাব করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: West Bengal Budget: একুশের আগে জনমোহিনী বাজেট, কৃষিতে আয়কর মকুব রাজ্যের

কেউ কেউ বলছেন তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) অনুকরণে এখানেও হয়তো কোনও আম্মা ক্যান্টিন (Amma Canteen) চালু হতে পারে। এই আম্মা ক্যান্টিনে ভরপেট খাওয়ার জন্য খরচ হয় মাত্র দুটাকা। তেমনই যদি ক্যান্টিন পশ্চিমবঙ্গে চালু করা যায় তাহলে সর্বসাধারণের উপকারে আসবে। পাঁচ টাকায় ভরপেট ডালভাত অথবা ১০ টাকায় ডালভাত, সবজি, ডিম- এই দুটির যেকোনও একটি চালুর বিষয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভায় আলোচনা চলছে। সকলেই জানেন য়ে রাজ্যের কোষাগার প্রায় শূন্য। এই সময়ের খবর অনুযায়ী,

এই পরিস্থিতিতে বিরাট অঙ্কের কোনও খয়রাতিতে যেতে পারবে না মমতার সরকার। সেখানে নতুনভাবে কোনও জনমোহিনী ঘোষণা করতে হলে আগেভাগে গুছিয়ে নামতে হবে বলেই মত বিশিষ্ট মহলে।