Visva Bharati University: রবীন্দ্রনাথ নিজেও বহিরাগত ছিলেন, রাজনৈতিক উস্কানিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর হয়, চিঠিতে অভিযোগ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের
বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati Universtity) বহিরাগতদের পাঁচিল ভাঙার কাণ্ডে লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি লিখেছেন, বিশ্বভারতীতে ভাঙচুরের নেপথ্যে ছিল রাজনৈতিক মদত। রাজনৈতিক মদতেই ভাঙচুর চালানো হয়েছে ঐতিহ্যের বিশ্বভারতীতে। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথও ছিলেন বহিরাগত, আশ্রমকে ভালোবেসে থেকে গিয়েছিলেন। কোনও ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর বিশেষ স্বার্থ, কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুষ্কৃতীদের হুমকি তাদের অধিকার প্রয়োগকে বিরত রাখতে পারে না।
বোলপুর, ২২ অগস্ট: বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati Universtity) বহিরাগতদের পাঁচিল ভাঙার কাণ্ডে লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি লিখেছেন, বিশ্বভারতীতে ভাঙচুরের নেপথ্যে ছিল রাজনৈতিক মদত। রাজনৈতিক মদতেই ভাঙচুর চালানো হয়েছে ঐতিহ্যের বিশ্বভারতীতে। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথও ছিলেন বহিরাগত, আশ্রমকে ভালোবেসে থেকে গিয়েছিলেন। কোনও ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর বিশেষ স্বার্থ, কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুষ্কৃতীদের হুমকি তাদের অধিকার প্রয়োগকে বিরত রাখতে পারে না।
এদিন উপাচার্য সাত পাতার একটি চিঠি লেখেন। যারা সেদিন ভাঙচুর চালিয়েছেন তাদের শান্তিনিকেতনের ওপর কোনও ভালোবাসা নেই। পুরোটাই রাজনৈতিক উস্কানিতে হয়েছে। তিনি এও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রাচীর ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে তিনি সরে আসবে না। রবীন্দ্রনাথ নিজেও শান্তিনিকেতনে বহিরাগত ছিলেন। জায়গাকে ও আশ্রমকে ভালোবেসেছিলেন বলে এখানে ছিলেন। আরও পড়ুন, রাজ্যেকে রাজ্যের ভিতরে ও বাইরে ব্যক্তি এবং পণ্যসামগ্রী চলাচলে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার নির্দেশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
১৭ অগস্ট পৌষমেলার (Poush Mela) মাঠে পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে বিরোধ বাঁধে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টানতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, 'নিরাপত্তা মজবুত করার জন্য বিশ্বভারতী চত্বরে ফেন্সিং তৈরি করা হচ্ছে। এতে কারওর কোনও সমস্যা হবে না।' পৌষমেলার মাঠ ঘিরে রাখার জন্য পাঁচিল তোলার কাজ শুরু হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।