Trinamool MLA Jakir Hossain: তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি, কারখানা থেকে ১১ কোটি টাকা উদ্ধার করল আয়কর বিভাগ
১১ কোটি টাকার মধ্যে, শুধু তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৯ কোটি টাকা, বাকি ২ কোটি টাকা হোসেনের মালিকানাধীন বিড়ি কারখানা ও একটি চাল কল থেকে উদ্ধার করা হয়
কলকাতা, ১২ জানুয়ারি: মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জাকির হোসেনের কারখানা ও চাল কলে ১১ জানুয়ারি বিকেল থেকে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান যা বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত চলে এবং ওই বাড়ি থেকে ১১ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ১১ কোটি টাকার মধ্যে, শুধু তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৯ কোটি টাকা, বাকি ২ কোটি টাকা হোসেনের মালিকানাধীন বিড়ি কারখানা ও একটি চাল কল থেকে উদ্ধার করা হয়। জাকির হোসেনে দু'বারের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক এবং পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রীসভার প্রাক্তন সদস্য। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান চালায় আয়কর দফতরের গোয়েন্দারা। আয়কর দফতর যে সমস্ত জায়গায় হানা দিয়েছে, সেখান থেকে বেশ কিছু কাগজ এবং বৈদ্যুতিন নথিও (Electronic Documents) বাজেয়াপ্ত করেছে। নগদ টাকা উদ্ধারের বিষয়টি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকেও (ইডি) জানিয়েছে তারা। Teachers Recruitment In West Bengal: নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক পদে চাকরি পেলেন ৪৭ জন প্রার্থী, নথিতে সমস্যা থাকায় ৪ জনকে দেওয়া গেল না নিয়োগপত্র
নগদ অর্থ উদ্ধারের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানালেও হোসেন যেভাবে অভিযান পরিচালনা করেছেন তাতে আপত্তি তুলেছেন তিনি। তিনি জানান, আয়কর বিভাগ তাঁর চত্বরে আসায় তাঁর কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু অপারেশনের পদ্ধতি অন্যরকম হতে পারত। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানরা। তিনি কোনও দাগী আসামী নন। তিনি একজন ব্যবসায়ীর পাশাপাশি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এটা তাঁকে হয়রানি করা এবং জনসমক্ষে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই নয়। হোসেন বলেন, গত ২৩ বছর ধরে নিয়মিত ও সৎ করদাতা।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র সমিক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) বলেন, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের বাড়ি থেকে বেহিসাবি টাকা উদ্ধারের ঘটনা নতুন নয়। এর আগে বহু কোটি টাকার শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বাড়ি থেকে একই রকম টাকা উদ্ধারের ঘটনা আমরা দেখেছি। তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের গোটা শাসক দলই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত"। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য ডাঃ শান্তনু সেনের দাবি, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি ইচ্ছাকৃতভাবে তৃণমূল নেতাদের একঘরে করে তাদের টার্গেট করছে। সেন বলেন, "রাজ্যের বিজেপি নেতাদের বাড়িতে যদি একই রকম অভিযান ও তল্লাশি চালানো হত, তা হলে অনেক বেশি পরিমাণের বেহিসাবি টাকা উদ্ধার করা যেত।