Gangasagar Mela 2021: অতিমারীর জেরে গঙ্গাসাগরে নেই পূণ্যার্থীর ভিড়, আর্থিক সঙ্কটের মুখে ব্যবসায়ীরা

কথাতেই আছে, সব তীর্থ বারবার। তবে গঙ্গাসাগর (Gangasagar) একবার। কিন্তু করোনা অতিমারীর (Coronavirus) জেরে এবার পূণ্যার্থীদের মধ্যেও গঙ্গাসাগরে যেতে অনীহা দেখা দিয়েছে। সংক্রমণ রুখতে ই-স্নানেই ভরসা। ঘরে বসেই দর্শনের বন্দোবস্ত তো বটেই। পাশাপাশি মাত্র ১৫০ টাকা দিলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে সাগরের জল এবং প্রসাদ। লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরে বসে পূণ্য অর্জনের আশায় রেজিস্ট্রেশন করেছেন। যার জেরে গঙ্গাসাগর মেলার ব্যবসায়ীরা প্রবল আর্থিক ক্ষতির মুখে।

গঙ্গাসাগর মেলা। Photo Source: Twitter

কাকদ্বীপ, ১৩ জানুয়ারি: কথাতেই আছে, সব তীর্থ বারবার। তবে গঙ্গাসাগর (Gangasagar) একবার। কিন্তু করোনা অতিমারীর (Coronavirus) জেরে এবার পূণ্যার্থীদের মধ্যেও গঙ্গাসাগরে যেতে অনীহা দেখা দিয়েছে। সংক্রমণ রুখতে ই-স্নানেই ভরসা। ঘরে বসেই দর্শনের বন্দোবস্ত তো বটেই। পাশাপাশি মাত্র ১৫০ টাকা দিলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে সাগরের জল এবং প্রসাদ। লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরে বসে পূণ্য অর্জনের আশায় রেজিস্ট্রেশন করেছেন। যার জেরে গঙ্গাসাগর মেলার ব্যবসায়ীরা প্রবল আর্থিক ক্ষতির মুখে। আরও পড়ুন: আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় দিল্লিতে গ্রেপ্তার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কে ডি সিং

লকডাউনের জেরে দীর্ঘ ১ বছরের কাছাকাছি ব্যবসায় বিপুল ক্ষতি। গঙ্গাসাগর মেলা ব্যবসায়ীদের কাছে দেখিয়েছিল আশার আলো। তবে সেই আশায় জল ঢালল সেই করোনাভাইরাসই। করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেনও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে দেশে। এহেন পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছেন পূণ্যার্থীরা। প্রতিবছর ৩৫ থেকে ৫০ লক্ষ পূণ্যার্থী ভিড় জমান গঙ্গাসাগর মেলায়। সেখানে এবার খাঁ খাঁ করছে গঙ্গাসাগর। তবে ই-স্নানে মিলছে বিপুল সাড়া। কারণ গঙ্গাসাগরের জলে এক ডুব দিলেই সংক্রমণের মাত্রা হতে পারে মাত্রাছাড়া, এমন আশঙ্কার বাণী শুনিয়েছিলেন স্বাস্থ্যবিদ থেকে হাইকোর্টও। তবে ভিড় কম হলেও উপকূলরক্ষী বাহিনী, নৌবাহিনী ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। চলছে কড়া নজরদারি।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধু-সন্ন্যাসীরা এসে হাজির হয়েছেন গঙ্গাসাগর মেলায়, তবে এদের মধ্যে কেউ কোভিডে আক্রান্ত নন। ১ জানুয়ারি থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসন এবং কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে ১০ হাজার পুণ্যার্থীর করোনা পরীক্ষা হয়েছে। বঙ্গবাসী ময়দানে তৈরি হয়েছে দু'টি অস্থায়ী শিবির, সেখানেই ভিন রাজ্য থেকে আগত সকলের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত একজনের রিপোর্টও পজিটিভ আসেনি বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। জেলা প্রশাসকের বক্তব্য, "কোভিড প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকেরা পুণ্যার্থীদের দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন এবং তাঁদের শরীরে কোনও উপসর্গ রয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখছেন। পুণ্যার্থীদের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক ও স্যানিটাইজার আছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।" পূণ্যার্থীরা যদি কেউ করোনা আক্রান্ত হন, তাদের চিকিৎসার জন্যও যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়েছে। বঙ্গবাসী ময়দান ও মোহনবাগান ফুটবল ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় তৈরি হয়েছে দু'টি অস্থায়ী চিকিৎসা শিবির।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now