Lok Sabha Elections 2019: ২৮ মে-র আগে গ্রেপ্তারি নয়, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তিতে অর্জুন সিং
চলতি মাসের ২৮ মে পর্যন্ত বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংকে কোনও মামলাতেই গ্রেপ্তার করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ(State Police)। গণনার আগে ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়ায়(Bhatpara-Kankinara) গন্ডগোলকে কেন্দ্র করে এখন খবরের শিরোনামে এই বিজেপি নেতা। যেকোনও মুহূর্তে গ্রেপ্তার হতে পারেন, আঁচ পেয়েই সুপ্রিম কোর্টে যান অর্জুন সিং(Arjun Singh)। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত(Supreme Court) জানিয়ে দিয়েছে।
কলকাতা, ২২ মে: চলতি মাসের ২৮ মে পর্যন্ত বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংকে কোনও মামলাতেই গ্রেপ্তার করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ(State Police)। গণনার আগে ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়ায়(Bhatpara-Kankinara) গন্ডগোলকে কেন্দ্র করে এখন খবরের শিরোনামে এই বিজেপি নেতা। যেকোনও মুহূর্তে গ্রেপ্তার হতে পারেন, আঁচ পেয়েই সুপ্রিম কোর্টে যান অর্জুন সিং(Arjun Singh)। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত(Supreme Court) জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ২৮ মে-র আগে অর্জুনকে কোনওভাবেই গ্রেপ্তার করা যাবে না। রাত পোহালেই লোকসভা ভোটের গণনা। নিজের কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে গণনা প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করতে পারবেন তিনি, সুপ্রিম রায়ে তাই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন।
এদিকে যেকোনও মুহূর্তে খুন হয়ে যেতে পারেন অর্জুন সিং, এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। ইতিমধ্যেই দলীয় নেতৃত্বদের পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমের কাছেও নিজের আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন তিনি। গতকাল রাতেও বরাকপুর কেন্দ্রের প্রার্থীর বাড়িতে ছিল কড়া পুলিশি প্রহরা। আজও সেই নিয়মের কোনও বদল ঘটেনি।
উল্লেখ্য, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে পরেই অর্জুন সিং ভোটের বাজারের গরম খবর। লোকসভা নির্বাচন নিয়ে একদা রাজনৈতিক সহকর্মী তথা বর্তমানে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বি দীনেশ ত্রিবেদীর সঙ্গে ঠোকাঠুকিতে গেলও কার্যক্ষেত্রে তেমন কিছুই ঘটেনি। তবে তাঁর পদত্যাগে ভাটপাড়া বিধায়ক পদটি শূন্যই ছিল. লোকসভার প্রচার চলাকালীন বীরভূমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) মদন মিত্রকে(Madan Mitra) বিধানসভার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। বিজেপির প্রার্থী হয় অর্জুনের পুত্র পবন। এরপর দু’তরফের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় সম্মান রক্ষার লড়াই, অর্জুন সিং বনাম তৃণমূল। সারদা কাণ্ডে জেল খেটে আসার পর দিদি তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছেন, যেনতেন প্রকারেণ দিদির মান রাখতেই হবে মদনবাবুকে, তাই বিধানসভার আসনটি সুরক্ষিত করতে জান লড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এদিকে তৃণমূল ছেড়েছেন বলে ভাটপাড়ার বিধায়কের আসন তাঁর হাতের বাইরে বেরিয়ে যাক এমনটা কখনওই চাননি অর্জুন সিং, তাই তুল্যমূল্য লড়াইতে তৈরি তিনিও। হলও তাই, গত শনিবার রাত থেকেই তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা ভাটপাড়া, গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ভোটের দিন অর্থাৎ ৯ তারিখে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন মুড়িমুড়কির মতো বোম পড়ে। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী একসঙ্গে পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
ভোট মিটলেও গোটা কাঁকিনাড়া-ভাটপাড়া ছিল থমথমে, সোমবার থেকে স্থানীয় বিজেপি শিবির কাঁকিনাড়া স্টেশনে অবরোধ শুরু করে, আটকাতে গিয়ে বোমার ঘায়ে জখম হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান। তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার একইভাবে রেল অবরোধের পর ট্রেনের কামরা থেকে যাত্রীদের নামিয়ে এনে মারধর, তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি, বোমা, ইটবৃষ্টি কোনওটিই বাদ যায়নি।