Leela Majumdar: লকডাউনে 'সাপে বর'! উদ্ধার হল বাংলা সাহিত্যের 'গুপ্তধন'

লীলা মজুমদারকে (Leela Majumdar) চিঠি লিখতেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। চিঠি লিখতেন প্রেমেন্দ্র মিত্র, আশাপূ্র্ণা দেবী এবং নন্দলাল বসুও। লকডাউনে বাংলা সাহিত্য জগতের গুপ্তধন যেন প্রকাশ্যে এল। শুধু চিঠি লেখা লেখির প্রমাণই নয়। প্রকাশ্যে এল মাদার টেরিসাকে নিয়ে লেখা তাঁর অপ্রকাশিত জীবনী এবং অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাগেশ্বরী শিল্প প্রবন্ধের ইংরেজি সংস্করণ। সৌজন্যে পাইকপাড়ার বাসিন্দা সৌম্য।

Leela Majumdar Photo Source: wikimedia

কলকাতা, ৪ মে: লীলা মজুমদারকে (Leela Majumdar) চিঠি লিখতেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। চিঠি লিখতেন প্রেমেন্দ্র মিত্র, আশাপূ্র্ণা দেবী এবং নন্দলাল বসুও। লকডাউনে বাংলা সাহিত্য জগতের গুপ্তধন যেন প্রকাশ্যে এল। শুধু চিঠি লেখা লেখির প্রমাণই নয়। প্রকাশ্যে এল মাদার টেরিসাকে নিয়ে লেখা তাঁর অপ্রকাশিত জীবনী এবং অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাগেশ্বরী শিল্প প্রবন্ধের ইংরেজি সংস্করণ। সৌজন্যে পাইকপাড়ার বাসিন্দা সৌম্য। আরও পড়ুন: Surat: ঘরে ফেরাকে কেন্দ্র করে পরিযায়ী শ্রমিক ও পুলিশের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সুরাত, দেখুন ভিডিও

সৌম্যকান্তি দত্ত এবং সৌরভ ব্যানার্জি। দু’জনেই উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরির 'সন্দেশ' পত্রিকার হয়ে কাজ করেন। বছর দেড়েক আগে লীলা মজুমদারকে নিয়ে তাঁরা লেখালেখি শুরু করেন। যার জন্য তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন লেখিকার বাড়িতে। সেখানে লেখিকার ছেলে রঞ্জন এবং বৌমা স্বপ্না মজুমদারকে তাদের কাজের কথা জানাতেই তাঁরাও উৎসাহিত হয়ে পড়েন। লীলা মজুমদারের ঘর ঘেঁটে সৌম্য এবং সৌরভের হাতে একগুচ্ছ কাগজ তুলে দেন তাঁরা। কিন্তু কাজের চাপে সেভাবে দু’জনের কেউ-ই খুঁটিয়ে পড়ে উঠতে পারছিলেন না সমস্ত কাগজপত্র। কিন্তু লকডাউন যেন তাদের কাছে সাপে বর হয়। সমস্ত কাগজ খুঁটিয়ে দেখতে গিয়ে লীলা মজুমদারের ‘গুপ্তধন’ যেন তাদের হাতে চলে আসে।

কাগজপত্র ঘাটতে গিয়ে লীলা মজুমদারকে উপহার হিসেবে দেওয়া নন্দলাল বসুর স্কেচ, তাঁকে লেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কুমুদনাথ চৌধুরী, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, পূর্ণিমা ঠাকুর, অন্নদাশঙ্কর রায়, আশাপূর্ণা দেবী, প্রেমেন্দ্র মিত্র, সত্যজিৎ রায়ের চিঠি। এছাড়া রবীন্দ্রনাথকে নিয়েও একাধিক লেখা লিখেছিলেন লীলা মজুমদার। যেগুলো আজও অপ্রকাশিত হয়ে থেকে গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়,  পাওয়া গিয়েছে লীলা মজুমদারের লেখা জেমস জয়েসের বিখ্যাত গল্প ‘দ্য বোর্ডিং হাউস’, ‘অ্যান এনকাউন্টার’ এবং উইলিয়াম শেক্সপিয়রের কিছু নাটকের অনুবাদও। এছাড়া সত্যজিত রায় এবং রায় পরিবারের বেশ কিছু ছবিও উদ্ধার হয়েছে।