Old Age Home: অভিনয়ের পাশাপাশি বৃদ্ধাদের দেখভাল, মন ভালো করার ঠিকানা ‘নতুন ঘর’

বৃদ্ধাশ্রম। শব্দটা কানে এলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের অশ্রুভেজা করুণ চোখ।

MLA Nirmal Maji and Actress Payel Sarkar. (Photo Credits: Twitter)

কলকাতা, ৩০ মে: বৃদ্ধাশ্রম। শব্দটা কানে এলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের অশ্রুভেজা করুণ চোখ। সারা জীবন কষ্ট করে ছেলেমেয়েদের বড় করেও, বৃদ্ধ বয়সে তাঁদের ঠাঁই হয়নি সন্তানদের ঘরে। অনেকে আবার নিঃসন্তান, বয়সকালে দেখভালের জন্য কেউ নেই, তাই ঠিকানা হয় বৃদ্ধাশ্রম। কিন্তু অস্বীকার করার অবকাশ নেই, দেশের বয়ষ্ক জনগোষ্ঠীর একাংশ আজ অবহেলিত এবং অনাদরে দিন কাটাচ্ছেন। নিজ ঘরে ঠাঁই হয় না তাঁদের। একবিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকে এসেও আমাদের তথাকথিত সভ্যসমাজের সমাজের এটাই বাস্তব ছবি। দেশে দিন দিন বেড়ে চলেছে বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা। কলকাতা কেষ্টপুরে অবস্থিত এরকমই একটি বৃদ্ধাশ্রম – ‘নতুন ঘর’। পুরোপুরি মহিলাদের নিয়ে গড়ে ওঠা এই বৃদ্ধাশ্রমে ঠিকানা হয়েছে ৮ বৃদ্ধার।

গত ২ বছর হলো ‘নতুন ঘর’ বৃদ্ধাশ্রমটির যাবতীয় দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী পায়েল সরকার। সারাটা দিন অভিনয় আর সমাজসেবা করে কাটে, কিন্তু এই বৃদ্ধাশ্রম তাঁকে মানসিক শান্তি দেয়, তাঁর মন ভালো করে দেয়। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সাধারণ সম্পাদিকা নিজের খরচেই বৃদ্ধ মহিলাদের দেখাশোনা করেন। তাঁর বক্তব্য, “কোনও সমাজসেবা নয়, বয়ষ্ক দিদাদের কাছে এলে আমার মন ভালো হয়ে যায়। আগামী বছর বৃদ্ধদের জন্য এরকম একটি বৃদ্ধাশ্রম খোলার ইচ্ছে রয়েছে আমার।”

অভিনেত্রী পায়েল সরকারের এই মহৎ কাজে পাশে দাঁড়িয়েছেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বেঙ্গল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ডক্টর নির্মল মাজি। নতুন ঘর বৃদ্ধাশ্রমে বসবাসকারী ৮ বৃদ্ধার চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্বভার নিয়েছেন তিনি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, যদি কোনও সময় তাঁদের বড় কোনও চিকিৎসা খরচের প্রয়োজন হয়, তাহলে তিনি যতটা সম্ভব সবরকম সাহায্য করবেন। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে তাঁর যাবতীয় সমাজসেবা কাহিনী তুলে ধরেন অভিনেত্রী। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একটাই বর্তমান প্রজন্ম ও তরুণদের উৎসাহিত করা। কারণ, মানুষের পাশে তো মানুষই দাঁড়ায়।