Khagragar Blast Verdict: সর্বোচ্চ ১০ বছরের জেল ও ৬ জনের সাজা ঘোষণা আদালতের: খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ড

অবেশেষে খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের সাজা ঘোষণা করল ব্যাঙ্কশাল আদালত। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সাজা ঘোষণা করল। দোষী সাব্যস্ত ১৯ জনের মধ্যে ৬ জনকে ১০ বছরের কারাবাস। বাকিদের মধ্যে ৮ বছরের কারাবাস দেওয়া হয়েছে ১০ জনকে। বাকি ৩ জনকে ৬ বছরের কারাবাস দেওয়া হয়। দোষীদের মধ্যে ২ মহিলা আলিমা ও গুলশানরা বিবির ৬ বছরের কারাবাস ঘোষণা করেছেন বিচারক।

প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Pixabay)

কলকাতা, ৩০ আগস্ট: Punishment Of Khagragar Blast Case: অবেশেষে খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের সাজা ঘোষণা করল ব্যাঙ্কশাল আদালত (Bankshal Court)। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সাজা ঘোষণা করল। দোষী সাব্যস্ত ১৯ জনের মধ্যে ৬ জনকে ১০ বছরের কারাবাস। বাকিদের মধ্যে ৮ বছরের কারাবাস দেওয়া হয়েছে ১০ জনকে। বাকি ৩ জনকে ৬ বছরের কারাবাস দেওয়া হয়। দোষীদের মধ্যে ২ মহিলা আলিমা ও গুলশানরা বিবির ৬ বছরের কারাবাস ঘোষণা করেছেন বিচারক। অন্যদিকে দোষী সাব্যস্ত সহিদুল ইসলামকেও ৬ বছর জেল ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। দোষী শেখ রামতুল্লা, সইদুল ইসলাম, মহম্মদ রুমেল, আমজাদ আলি শেখ, জহিদুর ইসলামের ১০ বছরের জেল ও ২০ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়। দোষী গিয়াসুদ্দিন মুনসি, সাহাদুল আলম, আবদুল হাকিম, আবদুল কালাম ও রেজাউল করিমের ৮ বছর কারাবাস এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।

বিচারক আরও জানান, যারা ৫ বছর জেল খেটে নিয়েছে তাদের বাকি সময়টা জেল খাটালেই হবে। সেই সুবাদে আলিম ও গুলশানের বিবি আর একবছর জেল খাটবেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত এই ২ মহিলা প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেন। ৮ জন বাংলাদেশিকে সে দেশে ফেরত পাঠানোর কথা বলেন বিচারক। বিকেল ৫.১৫ নাগাদ সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।

গত ২৮ আগস্ট বুধবার পিটিশন গ্রাহ্য করা হয় ওই ১৯ জনের। আজ শুক্রবার তাদের সাজা ঘোষণা করবে ব্যাঙ্কশাল আদালত। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে ইউপিএ ১৬, ১৭ ও ১৮ ধারায় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ও ভারতী দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪৬৮, ৪৭১ ও ৪১৯ ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, অশান্তি তৈরির চেষ্টা-সহ বিস্ফোরক আইন, অস্ত্র আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এছাড়া পাসপোর্ট অ্যাক্ট ও ফরেনার অ্যাক্টেরও মামলা করা হয়েছে বলে NIA সূত্রে খবর। একটি চার্জশীট ও ৪ টি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশীটসহ মোট ৫ টি চার্জশীট দিয়েছে NIA।

এই চার্জশীট গঠন ও ট্রায়াল শুরু হয় ২০১৫ সাল থেকেই। মোট ৮০০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। আদালত সূত্রে খবর. ঘটনাটির ব্যাপ্তি এবং পরিধি এতটাই ছড়িয়ে রয়েছে যে চার্জশীট তৈরী করা, সাপ্লিমেন্টারি চার্জশীট গঠন করা ও আদালতে এই নিয়ে শুনানি শুরু হতে প্রায় পাঁচ বছর সময় লেগে যায়।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে অষ্টমীর দিন দুপুরে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বর্ধমানের খাগড়াগড়। প্রকাশ্যে আসে এরাজ্যে জামাত- উল- মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি (JMB)-জঙ্গি চক্রের জাল। জেলা পুলিশ CID- র হয়ে তদন্তভার হাতে যায় NIA -র। গ্রেফতার করা হয় ৩১জনকে। চার্জশিটের পর ৩১ জনের বিচার শুরু হয়। তারমধ্যে আব্দুল হাকিম-সহ ১৯ অভিযুক্ত আদালতের সামনে দোষ স্বীকার করে নেয়।

২৩ আগস্ট আবেদনের শুনানি হয়, ঘটনায় জড়িত গুলশন আরা বিবি, আলিমা বিবি-সহ ১৯ জনকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। প্রত্যেকের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁরা কারও প্ররোচনায় দোষ স্বীকার করছেন কিনা। ঘটনায় অভিযুক্তরা জানান, তাঁরা কারও প্ররোচনা ছাড়াই দোষ স্বীকার করছেন। এরপরই ১৯জনকে দোষী সাব্যস্ত করে ব্যাঙ্কশাল আদালত।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now