Alokranjan Dasgupta: ৮৭-তে থামল কলম, জীবন থেকে বিরতি নিলেন কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত
“ভগবানের গুপ্তচর মৃত্যু এসে বাঁধুক ঘর/ ছন্দে, আমি কবিতা ছাড়ব না”! চলে গেলেন ভালবাসার কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত (Alokranjan Dasgupta)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। গত ৪০ বছর ধরে জার্মানিতে বসবাস ছিল কবির। ফেলোশিপ নিয়ে দেশ ছাড়ার পর সেখানেই হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। বয়সজনিত কারমে নারকম অসুস্থতা ছিল অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের। তবুও নিয়ম করে প্রতিবছর আসতেন কলকাতায়। লেখালেখিও চলছিল পুরোদমে। তাঁর মৃত্যুতে শোক মুহ্যমান কলকাতার প্রকাশনা সংস্থা অভিযানের কর্ণধার মারুফ হোসেন।
জার্মানি ও কলকাতা, ১৮ নভেম্বর: “ভগবানের গুপ্তচর মৃত্যু এসে বাঁধুক ঘর/ ছন্দে, আমি কবিতা ছাড়ব না”! চলে গেলেন ভালবাসার কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত (Alokranjan Dasgupta)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। গত ৪০ বছর ধরে জার্মানিতে বসবাস ছিল কবির। ফেলোশিপ নিয়ে দেশ ছাড়ার পর সেখানেই হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। বয়সজনিত কারমে নারকম অসুস্থতা ছিল অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের। তবুও নিয়ম করে প্রতিবছর আসতেন কলকাতায়। লেখালেখিও চলছিল পুরোদমে। তাঁর মৃত্যুতে শোক মুহ্যমান কলকাতার প্রকাশনা সংস্থা অভিযানের কর্ণধার মারুফ হোসেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিয় কবির ছবি শেয়ার করে লিখলেন, “অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত নেই, ভাবতে পারছি না। অনুভূতি শূন্য হয়ে যাচ্ছে ...।”
সাহিত্য ও শিক্ষার এমন অসামান্য মেলবন্ধন আজকাল খুব বেশি চোখে পড়ে না। একে একে নিভিছে দেউটি। বাংলা সাহিত্য জগতে আমরা অনাথ হতে শুরু করেছি। ১৯৫৭-৭১ সাল পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন তুলনামূলক সাহিত্য। শান্তিনিকেতনের প্রাক্তনী অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত পড়েছে সেন্ট জেভিয়ার্সেও। বাংলা ভাষায় ২০টিরও বেশি কাব্যগ্রন্থ রেখে গেলেন ৫-এর দশকের এই জনপ্রিয় কবি। ফরাসি ও জার্মান ভাষার একাধিক উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ রেখে গেলেন। স্ত্রী এলিজাবেথ জার্মানি থেকে ফোন করে কবির মৃত্যু সংবাদ জানান। সেখানকার স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত নটা নাগাদ প্রয়াত হত অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত। আরও পড়ুন-Donald Trump: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির তত্ত্ব মানেননি, সুরক্ষা কর্মকর্তাকে পদচ্যুত করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
তাঁর লেখনী তাঁকে ভালবাসা প্রিয় পাঠক উপহার দেওয়ার পাশাপাশি এনে দিয়েছে অনেক সম্মাননাও। তিনি পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার, সুধা বসু সম্মান, প্রবাসী ভারতী সম্মান, রবীন্দ্র পুরস্কার, মরমী করাত কাব্যগ্রন্থের জন্য় ১৯৯২ সালে পেলেন সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার। প্রাণের কবির মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান বাংলার সাহিত্যপ্রেমী সমাজ।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)