Nabanna: রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই জল ছেড়েছে ডিভিসি, একাধিক জেলায় জলমগ্ন পরিস্থিতি নিয়ে দাবি রাজ্য সরকারের
বিগত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। যার জেরে জলমগ্ন রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। এই অবস্থার মধ্যে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে আবার ছাড়া হয়েছে জল।
বিগত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। যার জেরে জলমগ্ন রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। এই অবস্থার মধ্যে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের (Damodar Valley Corporation) পক্ষ থেকে আবার ছাড়া হয়েছে জল। যে কারণে বাঁকুড়া (Bankura), পুরুলিয়া (Purulia), পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) ও পশ্চিম বর্ধমানে (Paschim Bardhaman) কার্যত বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বেশকিছু জেলায়। যা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকার। রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) বন্যা পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছেন বলে শনিবার জানালেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Bandyopadhyay)।
এদিন আলাপন বলেন, নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গ, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের একাধিক এলাকা জলমগ্ন। এরমধ্যে আবার ডিভিসি জল ছেড়েছে। এখনও পর্যন্ত দুই দফায় ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। গত শুক্রবার ২০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে এবং আজ ৫০ হাজার কিউসেক ছাড়া হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়বে ডিভিসি। তবে এইসবের জন্য কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি। অল্প অল্প করে জল ছাড়লে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও দুই বর্ধমানে বন্যা পরিস্থিতি হত না। ডিভিসির জল ছাড়ার জন্য হুগলি, হাওড়া, নামখানার মতো জায়গাতেও জলস্তর বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আলাপন আরও বলেন, আগামী চার-পাঁচদিনের মধ্যে উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার ওপর নজর রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার সমস্ত ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি রয়েছে। কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে গোটা বিষয়ের ওপর নজরদারি রাখছে।