Dilip ghosh: দিলীপ ঘোষকে 'খামোশ'থাকার নির্দেশ নাড্ডাদের, মেদিনীপুরের সাংসদকে মুখে কুলুপ আঁটতে বলে কড়া চিঠি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের
কথার তার তেমন ছিরি কোনওদিনই ছিল না। তিনি মুখ খুললেই বিতর্ক হয়। গরুর দুধে সোনা তত্ত্বই হোক বা বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বেলাগাম আক্রমণ।
কলকাতা, ৩১ মে: কথার তার তেমন ছিরি কোনওদিনই ছিল না। তিনি মুখ খুললেই বিতর্ক হয়। গরুর দুধে সোনা তত্ত্বই হোক বা বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বেলাগাম আক্রমণ। তাঁর বাক্যবাণ নিয়ে যতই সমালোচনা হোক, বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কিন্তু সেভাবে কখনই দিলীপ ঘোষকে কড়া কথা শোনাননি। তবে সেসব ছিল সুদিনের সময়ে। রাজ্যে বিজেপি-র খারাপ সময়ে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)কে মুখ কুলুপ আঁটতে বলল দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সংবাদমাধ্যমে বা প্রকাশ্যে কোথাও আপাতত আর মুখ খুলতে পারবেন না দিলীপ ঘোষ। যে দিলীপ ঘোষ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে প্রায় রোজই সংবাদমাধ্যমে কিছু না কিছু বেফাঁস মন্তব্য করে খবরে থাকতেন। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে দলের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং কড়া চিঠি পাঠিয়েছেন দিলীপকে।
সেই কড়া চিঠিতে বিশেষ ভাবে সতর্ক করে সংযত থাকতে বলা হয়েছে দিলীপকে। চিঠিতে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং লেখেন, 'আগে অনেক বার আপনাকে সতর্ক করা হয়েছে। কোনও লাভ হয়নি। আপনার মন্তব্যে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আপাতত সংবাদমাধ্যমে আপনি মুখ খুলতে পারবেন না।'আরও পড়ুন: শত চেষ্টা করেও বিজেপি ২০২৪-এ ক্ষমতা দখল করতে পারবে না, বললেন মমতা
কিন্তু আচমকা কী এমন হল যাতে দিলীপের বিরুদ্ধে এভাবে ব্যবস্থা নিতে হল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। আসলে ক দিন ধরেই সংবাদমাধ্যমে বেফাঁস কথা বলছেন দিলীপ। মেদিনীপুরের সাংসদের আগের বেলাগাম কথার সঙ্গে সম্প্রতি বেফাঁস মন্তব্যের ফারাকটা হল এখন তাঁর কথা দলের সরাসরি ক্ষতি ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হচ্ছে। মমতার বিকল্প দিতে না পারাকে বিজেপির অক্ষমতা বলা থেকে সিবিআই তদন্তে রেজাল্ট না মেলা, কিংবা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে সংবাদমাধ্যমে দিলীপের বেফাঁস মন্তব্যে বেজায় চটে দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চিঠি ধরালো দিলীপকে।
দেখুন টুইট
বাবুল সুপ্রিয় থেকে অর্জুন সিং, একের পর এক নেতা-সাংসদ দল ছেড়ে তৃণমূল যোগ দেওয়ায় বাংলা নিয়ে চিন্তার মেঘ দিল্লি বিজেপি-র। ২০২৪ লোকসভায় দেশে অনায়াসে ক্ষমতা ধরে রাখতে হলে বাংলা থেকে গতবারের মতই ১৮টা বা তার বেশি আসনে জিততেই হবে বিজেপিকে। কারণ উত্তরপ্রদেশ সহ উত্তর ভারত, পশ্চিম ভারতের কিছু রাজ্যে গতবারের মত অত ভাল নাও হতে পারে। এবার যদি বাংলাতেও এক ধাক্কায় অনেকটা আসন কমে যায়, তাতে দেশের সিংহাসন ধরে রাখা কঠিন হবে নরেন্দ্র মোদীর-র। আর তাই বাংলায় ২০২৪ লোকসভায় ভাল ফল করতে আগে দলীয় শৃঙ্খলায় জোর দিতে চাইছে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
দিলীপকে চিঠি ধরিয়ে রাজ্য বিজেপির অনেক নেতাকেই প্রকাশ্যের আত্মসমালোচনা করতে ঘুরিয়ে সতর্কবার্তা পাঠাল বিজেপি। এমনিতে রাজ্য সভাপতি থেকে সরে যাওয়ার পর বঙ্গ বিজেপি-তে কোণঠাসা দিলীপ। বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে তার জুটিটা ঠিক জমছে না। এমন সময় সংবাদমাধ্যমে বেলাগাম মন্তব্য করেই ভেসে ছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ। যার আমলে রাজ্যে বিজেপি লোকসভায় রেকর্ড ১৮টি ও বিধানসভায় ৭৭টি আসনে জেতে।