BJP MP Attacks Mamata Banerjee: 'উনি কি পুলিশের বন্দুকে কন্ডোম পরিয়ে রেখেছেন!' মমতা ব্যানার্জিকে অশ্লীল মন্তব্য বিজেপি সাংসদের
গত সপ্তাহের রবিবার বীরভূমের (Birbhum) ময়ূরেশ্বর দু’নম্বর ব্লকের কোটাসুর গ্রামে বিজেপির একটি দলীয় কার্যালয়ে (Party Office) ভাঙচুর চালানো হয়। আজ বুধবার সেখানেই যান বিজেপির দুই সাংসদ সুভাষ সরকার ও জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। সেখানেই মমতাকে আক্রমণ করতে গিয়ে সুভাষ সরকার বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন সিএএ আইনের বিরোধিতা করার জন্য, সেই ডাকে কারা সাড়া দিয়েছেন? তাদের পোশাক কী ছিল? পোশাক দেখেই বুঝতে পারা যাচ্ছে এই আন্দোলনে কারা ওনার সঙ্গী। কোনও সাধারণ মানুষ নেই।' এরপরই তিনি শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে বলেন, 'এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাড়িভিটে ছাত্ররা যখন বাংলার মাষ্টারমশাই চাইল, তাদের বুকে গুলি মেরে দিল। আর যখন জেহাদিরা, অনুপ্রবেশকারীরা ট্রেন ভাঙছে, পুলিশ মারছে, আরপিএফ মারছে তখন পুলিশের রিভালবারে-বন্দুকে তিনি কী লাগিয়ে রেখেছেন? পুলিশের রিভালবারে কি উনি কন্ডোম পরিয়ে রেখেছিলেন?'
সিউরি, ১৮ ডিসেম্বর: গত সপ্তাহের রবিবার বীরভূমের (Birbhum) ময়ূরেশ্বর দু’নম্বর ব্লকের কোটাসুর গ্রামে বিজেপির একটি দলীয় কার্যালয়ে (Party Office) ভাঙচুর চালানো হয়। আজ বুধবার সেখানেই যান বিজেপির দুই সাংসদ সুভাষ সরকার ও জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। সেখানেই মমতাকে আক্রমণ করতে গিয়ে সুভাষ সরকার বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন সিএএ আইনের বিরোধিতা করার জন্য, সেই ডাকে কারা সাড়া দিয়েছেন? তাদের পোশাক কী ছিল? পোশাক দেখেই বুঝতে পারা যাচ্ছে এই আন্দোলনে কারা ওনার সঙ্গী। কোনও সাধারণ মানুষ নেই।' এই সময়ের খবর অনুযায়ী, এরপরই তিনি শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে বলেন, 'এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাড়িভিটে ছাত্ররা যখন বাংলার মাষ্টারমশাই চাইল, তাদের বুকে গুলি মেরে দিল। আর যখন জেহাদিরা, অনুপ্রবেশকারীরা ট্রেন ভাঙছে, পুলিশ মারছে, আরপিএফ মারছে তখন পুলিশের রিভালবারে-বন্দুকে তিনি কী লাগিয়ে রেখেছেন? পুলিশের রিভালবারে কি উনি কন্ডোম পরিয়ে রেখেছিলেন?'
ধর্ষণ নিয়ে কবিতা লিখে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কবি শ্রীজাত (Kabi Srijato)। ত্রিশূলে কন্ডোম প্রসঙ্গে এনে হিন্দুত্ববাদীদের প্রবল আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন তিনি। অসমে রীতিমতো বিক্ষোভের মুখেও পড়েন। কন্ডোমের মতো এক যৌন উদ্দীপক সামগ্রীকে ত্রিশূলের মতো একটি ধর্মীয় বিষয়ের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ায় রীতিমতো ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগও আনা হয় তার বিরুদ্ধে। প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন বিজেপি নেতারাও। অথচ নাগরিকত্ব আইন পরবর্তী সময়ে রাজ্যে অশান্তি ও সেই বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগ তুলতে গিয়ে এবার স্বয়ং মমতা ব্যানার্জিকে নিয়ে এমন মন্তব্য করলেন এরাজ্যের বিজেপি সাংসদ! সেখানেই ছড়িয়েছে বিতর্ক। আরও পড়ুন: kailash Vijayvargiya: মুর্শিদাবাদে বিক্ষোভের মুখে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে
নকশালবাড়ি আন্দোলনের সময়, পুলিশের বন্দুকের নলে কন্ডোম পরানো আছে কিনা বলে বিতর্ক বাধিয়েছিলেন সিপিএম নেতা (CPIM Leader) প্রমোদ দাশগুপ্ত। সেই বক্তব্য আজও সমালোচিত। এবার একজন নেতার মুখেই একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে রাজনৈতিক আক্রমণ করতে গিয়ে এমন ভাষা ব্যবহার ভাবিয়ে তুলছে। নিন্দায় সরব হয়েছেন সকলে। তাঁদের প্রশ্ন, 'উনি একজন সাংসদ হয়ে, একজন মানুষ হিসেবে এই ধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে পারেন! সাধারণ মানুষের কাছে এতে কী বার্তা যায়?”' তবে এবিষয়ে আর কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি বিজেপির তরফে। অনেকেই বলছেন, একজন ডাক্তার হয়ে সুভাষ সরকারের মুখে এমন ভাষা আসলে সামাজিক অবক্ষয়েরই চিহ্ন।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)