Ananya Robot: কৃষ্ণনগরের রেস্তোরাঁয় গ্রাহকদের জন্যে খাবার নিয়ে আসছে রোবট, তার 'অনন্যা' নামের কারণ জানেন?
কিচেন থেকে খাবারের সুসজ্জিত থালা নিয়ে অনন্যা নামের এই রোবট সোজা হাজির হচ্ছে গ্রাহকদের টেবিলের সামনে গিয়ে। একটি নয়, একের অধিক রোবট এভাবেই গত কয়েকমাস ধরে মাদার্স হাট রেস্তোরাঁয় খাবার পরিবেশন করে চলেছে।
'আমি অনন্যা, আমি খাবার নিয়ে যাচ্ছি। দয়া করে আমাকে রাস্তা দেবেন'। কৃষ্ণনগরের (Krishnagar) মাদার্স হাট রেস্তোরাঁয় (Mother's Hut) গেলেই এখন কানে আসে এই আওয়াজ। কর্মচারীরা নয়, বরং অতি উন্নতমানের রোবট দিয়ে রেস্তোরাঁর গ্রাহকদের টেবিলে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। কিচেন থেকে খাবারের সুসজ্জিত থালা নিয়ে অনন্যা নামের এই রোবট (Ananya Robot) সোজা হাজির হচ্ছে গ্রাহকদের টেবিলের সামনে গিয়ে। একটি নয়, একের অধিক রোবট এভাবেই গত কয়েকমাস ধরে মাদার্স হাট রেস্তোরাঁয় খাবার পরিবেশন করে চলেছে।
বাচ্চা থেকে বুড়ো কৃষ্ণনগরের মাদার্স হাটের (Mother's Hut) 'অনন্যা' এখন ক্রেতাদের মূল আকর্ষণ। রোবট দেখতে বাড়ছে রেস্তোরাঁর ভিড়ও। এমনকি খাবার ফাঁকে টুক করে রোবটের (Ananya Robot) সঙ্গে ছবিও তুলে নিচ্ছে অনেকে। একেবারে উচ্চমানের টেকনোলোজি দিয়ে নির্মিত এই রোবটগুলি ঝরঝরে বাংলা ভাষায় কথা বলে যাচ্ছে। ৫ লুট লম্বা এবং আয়তক্ষেত্রাকার 'মুখ' বিশিষ্ট সাদা রঙের রোবটে রয়েছে বিশেষ সেন্সর। যাতে কর্মীরা খাবার রাখার পর নির্দেশ দেওয়া মত নির্দিষ্ট টেবিলেই সে ঠিক পৌঁছে যায়। তবে গন্তব্যের পথে ভিড়ভাট্টা দেখলেই থমকে যায় সে। সঙ্গে সঙ্গে বলতে শুরু করে, 'আমি অনন্যা, আমি খাবার নিয়ে যাচ্ছি। দয়া করে আমাকে রাস্তা দেবেন'। রোবটের নিয়ে আসা খাবার খাবেন বলে এদিকে মুখিয়ে থাকেন টেবিলে অপেক্ষারত ভোজনরসিকেরা। অভিনব এই পরিবেশনা পদ্ধতিতে মুগ্ধ হয়ে দিনে দিনে মাদার্স হাট রেস্তোরাঁয় বাড়ছে গ্রাহক সংখ্যা।
কলকাতা থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে জাতীয় সড়ক ১২ এর পাশে কৃষ্ণনগরে উপস্থিত মাদার্স হাট রেস্তোরাঁয় গিয়ে রোবট 'অনন্যা'কে (Ananya Robot) দেখার জন্যে দূরদূরান্ত থেকে ক্রেতারা এসে ভিড় করছেন। রেস্তোরাঁ মালিক অরিন্দম গড়াই এমন অভিনব ভাবনা প্রসঙ্গে জনান, কর্মচারীদের পরিশ্রম কম করতেই তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন। কর্মীরা যেখানে একবারে একটি খাবার হাতে করে নিয়ে যাচ্ছেন সেখানে অনন্যা একবারে অনেক খাবার নিয়ে যাচ্ছে অনায়াসে।
তবে এই রোবট কর্মচারীদের নাম 'অনন্যা' কেন রাখা হয়েছে তা ভাবছেন নিশ্চয়ই। রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, ওই রেস্তোরাঁয় অনন্যা নামে একজন কাজ করতেন। তাঁর নামেই এই রোবটের নাম অনন্যা রাখা হয়েছে। মাদার্স হাটের প্রথম তিন কর্মীর মধ্যে ছিলেন অনন্যাও। যিনি পরবর্তীকালে বিবাহসূত্রে অন্যত্র চলে যান। তাঁর কাজের দক্ষতা এবং নৈপুণ্যতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মাদার্স হাট কর্তৃপক্ষ ওই রোবটগুলির নাম অনন্যা রেখেছে। এই মুহূর্তে মোট চারটি রোবট কাজ করছে সেখানে।