Abhinandan Yatra: বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা ঘিরে ধুন্ধুমার নন্দীগ্রাম, বেপরোয়া লাঠিচার্জ পুলিশের বলে অভিযোগ

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) (Citizenship Amendment Act, 2019) সমর্থনে শনিবার মিছিল করে বিজেপি (BJP)। বিজেপির এই মহামিছিলের নাম ‘অভিনন্দন যাত্রা।’ শনিবার সেখানে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ পৌঁছলে তাঁর গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ বলে অভিযোগ। বেপরোয়া লাঠিচার্জ করা হয় দলের সমর্থকদের ওপরেও। ফলে বিষয়টি নিয়ে তুমুল বচসা শুরু হয়ে দু’পক্ষের মধ্যে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনা ঘিরে তেতে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম।

বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা ঘিরে ধুন্ধুমার নন্দীগ্রাম (Photo Credits: Twitter)

নন্দীগ্রাম, ১৮ জানুয়ারি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) (Citizenship Amendment Act, 2019) সমর্থনে শনিবার মিছিল করে বিজেপি (BJP)। বিজেপির এই মহামিছিলের নাম ‘অভিনন্দন যাত্রা।’ শনিবার সেখানে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ পৌঁছলে তাঁর গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ বলে অভিযোগ। বেপরোয়া লাঠিচার্জ করা হয় দলের সমর্থকদের ওপরেও। ফলে বিষয়টি নিয়ে তুমুল বচসা শুরু হয়ে দু’পক্ষের মধ্যে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনা ঘিরে তেতে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম।

সিএএ-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চালাচ্ছে বাম-কংগ্রেস থেকে মমতা ব্যানার্জির (CM Mamata Banerjee) নেতৃত্বে তৃণমূল। রাজ্য জুড়ে চলছে সিএএ বিরোধী প্রচার। এমন পরিস্থিতিতে ওই আইনের সমর্থনে বিভিন্ন জায়গায় ‘অভিনন্দন যাত্রা’র আয়োজন করেছে বিজেপি। এদিন নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকদের সঙ্গে সেই মিছিলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এবং রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর। কিন্তু, পুলিশ তাঁদের নন্দীগ্রামে ঢুকতেই দেয়নি বলে অভিযোগ। মিছিল আটকাতে সকাল থেকেই সেখানে ঢোকার সমস্ত রাস্তায় ব্যারিকেড বসিয়ে বন্ধ করে রাখে পুলিশ। বিপুল বাহিনী নামিয়ে জায়গায় জায়গায় পিকেটিংও করা হয়। এমনকি হলদিয়া টাউনশিপ এবং মহিষাদল তেরোপেথিয়া থেকে থেকে নন্দীগ্রাম যাওয়ার যে ফেরির ব্যবস্থা রয়েছে, বন্ধ করে দেওয়া হয় তাও। যাতে কোনও ভাবেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা সেখানে ঢুকতে না পারেন। এই অবস্থায় চণ্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রামে ঢুকতে গেলে রেয়াপাড়ার কাছে টেঙ্গুয়া মোড়ে দিলীপ ঘোষের গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের কাছে বাধা পেয়ে গাড়ি থেকেই বক্তৃতা শুরু করেন সায়ন্তন বসু। সিএএ-র কারণে মানুষ কীভাবে উপকৃত হবেন, দলের সমর্থকদের তা বোঝান তিনি। অভিযোগ, সেইসময় ওই জমায়েত ঘিরে ফেলে পুলিশ। তারপরই বিজেপি সমর্থকদের উপর তারা লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। আরও পড়ুন: Dilip Ghosh On CAA: তৃণমূলের কথা শুনলে বিপদে পড়তে হবে; নাগরিকত্ব প্রমাণে আধার ও প্যান কার্ড যথেষ্ট নয়, জানালেন দিলীপ ঘোষ

ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। আনন্দবাজারের খবর অনুযায়ী,  দলের তরফে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ (West Bengal Police) এখন একটাই কাজ করছে। তা হল যেন তেন প্রকারে বিজেপিকে বাধা দেওয়া। বিজেপির দাবি, দিন পনেরো আগেই এই কর্মসূচির (Schedule) কথা লিখিতভাবে পুলিশকে জানিয়েছিল তারা। তা সত্ত্বেও মিছিল আটকানো হয়েছে। যদিও কোনওরকম চিঠি তাদের কাছে পৌঁছয়নি বলে পাল্টা দাবি করেছে পুলিশ।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now