Sourav Ganguly Reacts Over Sana Ganguly: সানার পোস্ট সত্যি নয়! দাবি সৌরভ গাঙ্গুলির

বিসিসিআই সভাপতি (BCCI President) হওয়ার কয়েকদিন আগে থেকেই বাতাসে কান পাতলে কানাঘুঁষো শোনা যাচ্ছিল তলায় তলায় বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি (Sourav Ganguly)। সেই কারণেই নাকি বিসিসিআই সভাপতি পদ পেয়েছেন তিনি। সৌরভ সত্যি সত্যি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা তা নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছে। যাইহোক, অনুরাগী মহলে যে এ নিয়ে বাড়ছিল উত্তাপ। এই উত্তাপ আরও একপ্রস্থ বেড়ে গেল নাগরিক আইন নিয়ে মেয়ে সানার প্রতিবাদী পোস্টে বাবা হিসেবে মহারাজের প্রতিক্রিয়ায়।

সৌরভ গাঙ্গুলি-সানা গাঙ্গুলি (Photo Credits: Twitter)

কলকাতা, ১৯ ডিসেম্বর: বিসিসিআই সভাপতি (BCCI President) হওয়ার কয়েকদিন আগে থেকেই বাতাসে কান পাতলে কানাঘুঁষো শোনা যাচ্ছিল তলায় তলায় বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি (Sourav Ganguly)। সেই কারণেই নাকি বিসিসিআই সভাপতি পদ পেয়েছেন তিনি। সৌরভ সত্যি সত্যি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা তা নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছে। যাইহোক, অনুরাগী মহলে যে এ নিয়ে বাড়ছিল উত্তাপ। এই উত্তাপ আরও একপ্রস্থ বেড়ে গেল নাগরিক আইন নিয়ে মেয়ে সানার প্রতিবাদী পোস্টে বাবা হিসেবে মহারাজের প্রতিক্রিয়ায়।

সৌরভকন্যা নাগরিক আইন বিরোধী একটি পোস্ট করেন তাঁর সোশ্যাল হ্যান্ডেলে। সেখানে লেখক খুশবন্ত সিংয়ের ‘দ্য এন্ড অফ ইন্ডিয়া’(The End Of India) বই-এর একটি ছত্র শেয়ার করেন তিনি। যেখানে মোদি সরকারের নয়া আইনের বিরোধিতাকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে বলে মত নেটিজেনদের। যা নিয়ে বেঁধে যায় বিতর্ক। গতকাল বুধবার দুপুরে সানার ‘রাজনৈতিক’ পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে দেয়। পরে যদিও তা সরিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু, তা যে আলোচনার ভরকেন্দ্রে উঠে এসেছে, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক তথা বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের। এরপরেই ময়দানে নামেন মহারাজ। টুইট করে লেখেন, ‘এই সব বিষয় থেকে সানাকে দয়া করে দূরে রাখুন। এই পোস্ট সত্যি নয়। রাজনীতি সম্পর্কে কিছু জানার ব্যাপারে ও খুবই ছোট।’ আর তাতেই আগুনে ঘি পড়ে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন এ যেন ঘুরিয়ে নাক দেখানোরই সামিল। সাবালিকা মেয়ের বাক-স্বাধীনতা আড়াল করার চেষ্টা। আর এই চেষ্টা কেন্দ্র সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করার পক্ষে যথেষ্ট দাবি রাখে। আরও পড়ুন: Sana Ganguly On Anti CAA Protests: ‘আমরা কেউ নিরাপদে নেই’, নাম না করেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সমর্থনের ইঙ্গিত সৌরভ কন্যা সানার

সানা ওই বই (Book) থেকে যে অংশ তুলে ধরেছেন সেখানে লেখা রয়েছে, ‘প্রতিটা ফ্যাসিস্ত সরকারের একটা দল বা গোষ্ঠীর প্রয়োজন হয়। নিজেদের বেড়ে ওঠার জন্য তারা ওই দল বা গোষ্ঠীগুলিকে ব্যবহার করতে তাদের শয়তানেও পরিণত করে। দু’একটা দল দিয়ে এটা শুরু হয়। কিন্তু সেটা কখনওই সেখানে শেষ হয় না। ঘৃণার উপর নির্ভর করে যে আন্দোলন, সেই আন্দোলন নিজেকে ধরে রাখতে পারে অবিরাম একটা ভয় বা দ্বন্দ্বের বাতাবরণ তৈরি করে।’’ এখানেই থেমে থাকেননি সানা। খুশবন্তের লেখার আরও কিছু অংশ তিনি পোস্ট করেছেন। সেই অংশে লেখা ‘আজ যারা আমরা নিজেদের নিরাপদ মনে করছি, ভাবছি আমরা তো মুসলমান বা খ্রিস্টান নই, তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছি। সঙ্ঘ ইতিমধ্যেই বামপন্থী ইতিহাসবিদ এবং পশ্চিমী সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী যুবসমাজকে টার্গেট করেছে। কাল তাদের ঘৃণা গিয়ে পড়বে স্কার্ট পরিহিত মহিলা, যাঁরা মাংস খান, মদ্যপান করেন, বিদেশি সিনেমা দেখেন, বছর বছর তীর্থে যান না, দাঁতনের পরিবর্তে টুথপেস্ট ব্যবহার করেন, আয়ুর্বেদিকের বদলে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ পছন্দ করেন, দেখা হলে ‘জয় শ্রী রাম’ বলার বদলে হাত মেলান বা চুম্বন করেন, তাঁদের উপর। কেউ নিরাপদ নয়। ভারতকে বাঁচাতে হলে এগুলি আমাদের ভীষণভাবে অনুধাবন করতে হবে।’ এছাড়াও জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পথ ধরে দেশের কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিক্ষোভ প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠছে তারও একটি মানচিত্র পোস্ট করেন তিনি।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now