চট্টগ্রামে ইতিহাস: আফগানিস্তানের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে টেস্টে সেঞ্চুরি রহমত শাহ-র, কনিষ্ঠতম অধিনায়ক হওয়ার নজির রশিদ খানের
আফগানিস্তান ক্রিকেট ইতিহাসের বড় মাইলফলক হয়ে থাকল চট্টগ্রামে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্টে বড় দুটো রেকর্ড গড়লেন আফগানিস্তানের দুই ক্রিকেটার। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে কনিষ্ঠতম অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামেন আফগানিস্তানের রশিদ খান। টসে জিতে রশিদ খান প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন।
চট্টগ্রাম, ৫ সেপ্টেম্বর: আফগানিস্তান (Afghanistan) ক্রিকেট ইতিহাসের বড় মাইলফলক হয়ে থাকল চট্টগ্রাম। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্টে বড় দুটো রেকর্ড গড়লেন আফগানিস্তানের দুই ক্রিকেটার। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে কনিষ্ঠতম অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামেন আফগানিস্তানের রশিদ খান (Rashid Khan)। আর তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রহমত শাহ (Rahmat Shah) দুরন্ত সেঞ্চুরি করে তাঁর দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে জায়গা করে নিলেন। ২৬ বছরের রহমত শাহ-ই আফগানিস্তানের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হলেন। টসে জিতে রশিদ খান প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন।
জীবনের তৃতীয় টেস্ট ম্যাচে খেলতে নেমে দেশের ও নিজের অভিষেক সেঞ্চুরি করলেন। এর আগে চলতি বছর মার্চে দেরাদুনে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে ৯৮ রানে আউট হয়ে গিয়ে ইতিহাসের দোরডগড়া থেকে ফিরে ছিলেন। আজ অবশ্য সাকিবদের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করে তবে আউট হলেন। রহমত করলেন ১০২ রান। আরও পড়ুন-গুরু শ্রদ্ধায় কোচ রমাকান্ত আচরেকরকে নিয়ে করা সচিন তেন্ডুলকরের এই টুইট হৃদয় জিতছে
গত বছর জুনে প্রথমবার টেস্ট খেলেছিল আফগানিস্তান। হায়দ্রাবাদে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্টটাই ছিল আফগানদের অভিষেক পাঁচ দিনের ম্যাচ। আজকে তাদের টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল আফগানিস্তান। মাত্র ২০ বছর বয়েসে দেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিয়ে নজির গড়লেন রশিদ খান। ২০ বছর ৩৫০ দিনে টেস্ট অধিনায়কত্ব করতে নেমে পাঁচ দিনের ক্রিকেটে নয়া নজির গড়লেন রশিদ। তিনি ভাঙলেন জিম্বাবোয়ের তেতেন্দা টাইবু (২০ বছর ৩৫৮ দিন)-র রেকর্ড।
জোড়া নজির গড়ার টেস্টের প্রথম দিনে ভাল ব্যাটিং করল আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম দিনের শেষে আফগানদের স্কোর ৫ উইকেটে ২৭১ রান। ৮৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন আসগার আফগান। ৩৫ রানে ব্যাট করছেন ঝাঝাই। তাইজুল ইসলাম ও নইন হাসান ২টি করে উইকেট পেয়েছেন। মেহমদুল্লা একটি উইকেট পেয়েছেন। আজ বাংলাদেশের মোট আটজন বল করেন। সাকিব, মিরাজ কোনও উইকেট পাননি।