West Bengal: বিনা চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, চিকিৎসককে মালা পরিয়ে প্রতিবাদ পরিবারের লোকের
প্রসূতির (Pregnant) মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল প্রসূতির। তবে হিংসার পথে না হেঁটে অভিযুক্ত চিকিৎসককে হাসপাতাল থেকে বাইরে বের করে এনে গলায় মালা (Garland) পরিয়ে প্রতিবাদ জানালেন মৃতার বাড়ির লোকজনেরা। রবিবারের এই ঘটনা ভাইরাল (Viral News) হতে সময় নেয়নি সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বহরমপুর, ৯ ফেব্রুয়ারি: প্রসূতির (Pregnant) মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল প্রসূতির। তবে হিংসার পথে না হেঁটে অভিযুক্ত চিকিৎসককে হাসপাতাল থেকে বাইরে বের করে এনে গলায় মালা (Garland) পরিয়ে প্রতিবাদ জানালেন মৃতার বাড়ির লোকজনেরা। রবিবারের এই ঘটনা ভাইরাল (Viral News) হতে সময় নেয়নি সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মৃতদেহের সামনে গলায় মালা পরিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। অভিযোগ, প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে জিয়াগঞ্জের (Jiaganj) শতাব্দী দত্ত হালদার ৫ ঘন্টা ধরে যন্ত্রণায় ছটফট করলেও চিকিৎসক বাসব সাহা আসেননি। এর পরে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত চিকিৎসকের নামে হাসপাতাল সুপারের (Hospital Super) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই পরিবার। জিয়াগঞ্জের শতাব্দী দত্ত হালদার শনিবার ভোরে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভরতি হন। পরিবারের অভিযোগ, প্রসব যন্ত্রণায় রোগী ছটফট করলেও চিকিৎসক আসেননি। কর্মরত চিকিৎসক বাসব সাহাকে একাধিক কল বুক করা হলেও তিনি আসেননি বলে অভিযোগ। ওই প্রসূতি মারা যেতেই রোগীর আত্মীয়রা হাসপাতালে এসে বিক্ষোভ দেখান। হাসপাতালের সামনে মৃতদেহ রেখে অভিযুক্ত চিকিৎসককে গলায় মালা পরিয়ে দেন তাঁরা। হাত জোর করে চাঁদা তুলে টাকা গুজে দেন তাঁর হাতে। লজ্জায় নিজের কৃতকর্মের দায় স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। আরও পড়ুন: Viral: সবার মাঝে হাঁটু গেঁড়ে মন্ত্রীর জুতো খুলে দিতে বাধ্য হল আদিবাসী কিশোর! ইন্টারনেটে হৈ-চৈ
মৃতের কাকা বাপ্পা দত্ত বলেন, 'চারবার লোক পাঠানো হলেও ডাক্তার (Doctor) আসেননি। যখন এলেন তখন সব শেষ।' এই সময়ের খবর অনুযায়ী অভিযুক্ত চিকিৎসক বলেন, আমার শরীর খারাপ ছিল। সেজন্য সিস্টারদের টেলিফোনে (Telephone) নির্দেশ দিয়েছি।' তবে, তিনি স্বীকার করে নেন তাঁকে চারবার কল দেওয়া হলেও আসতে পারেননি। হাসপাতাল সুপার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।