মুম্বই থেকে শিক্ষা, বেঙ্গালুরুর রাজপথে একাই ম্যানহোল বন্ধ করছেন এই পুলিশকর্মী
মানুষের জন্য মানুষ কাজ করছে এমনটা খুব বেশি দেখা যায় না। বলা ভাল নিজের টুকু হলে আর অন্যের কথা ভাবাকে ঘরের খেয়ে পরের মহিষ তাড়ানো মনে করে। দিনে দিনে এই ভুল ধারণা মানুষের মধ্যে গে়ড়ে বসেছে। চেষ্টা করেও এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ব্যতিক্রমী তো যুগে যুগে কালে কালে এসেছে। তেমনই একজনের গল্প আজ বলব যিনি রাস্তাঘাটে খোলা ম্যানহোল বন্ধ করছেন নিজের উদ্যোগে।
বেঙ্গালুরু, ১৩ জুলাই: মানুষের জন্য মানুষ কাজ করছে এমনটা খুব বেশি দেখা যায় না। বলা ভাল নিজের টুকু হলে আর অন্যের কথা ভাবাকে ঘরের খেয়ে পরের মহিষ তাড়ানো মনে করে। দিনে দিনে এই ভুল ধারণা মানুষের মধ্যে গে়ড়ে বসেছে। চেষ্টা করেও এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ব্যতিক্রমী তো যুগে যুগে কালে কালে এসেছে। তেমনই একজনের গল্প আজ বলব যিনি রাস্তাঘাটে খোলা ম্যানহোল বন্ধ করছেন নিজের উদ্যোগে। পেশায় পুলিশ কনস্টেবল গিরিশ এম বেঙ্গালুরু শহর জুড়ে এই কাজ করছেন। তাঁর কথা ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রশংসা উপচে পড়েছে। আরও পড়ুন-গান গাওয়াকে কেন্দ্র করে খুনোখুনি, সহপাঠীর বুকে ছুরি বসাল ছাত্র
উল্লেখ্য, খোলা ম্যানহোলের কারণে বেঙ্গালুরুর ব্যস্ত রাস্তায় ছোট-বড় দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। প্রশাসন মাঝে মাঝে উদ্যোগ নিলেও, তা ধারাবাহিক নয়। সেই কারণেই পথে নেমেছেন গিরিশ নিজে। যেখানে যত খোলা ম্যানহোল আছে, বড় বড় পাথরের চ্যাপ্টা টুকরো দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন তিনি।তবে এই কাজ খুব বেশি দিন ধরে করছেন না তিনি। গত সপ্তাহেই এক রাতে ডিউটি চলার সময়ে এক মহিলা ও শিশুকে বিপজ্জনক ভাবে খোলা ম্যানহোলের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে দেখেন তিনি। তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে ঢাকা দেন ওই ম্যানহোলটি। তার পরেই নাগরিক দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এই কাজ সারা শহর জুড়ে করতে শুরু করেছেন তিনি।
তাঁর এই কাজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল। কেউ লিখেছেন, এখনও কিছু ভাল মানুষ আছেন পৃথিবীতে। কেউ আবার লিখেছেন, নিজের কাজটুকুর বাইরে অন্য কাজে এগিয়ে যেতে খুব কম মানুষকেই দেখা যায়। গিরিশ ব্যতিক্রম। তবে অনেকেই জানিয়েছেন, গিরিশের এই কাজ প্রশংসার যোগ্য হলেও, তা আসলে প্রশাসনের অপদার্থতাকেই তুলে ধরে। সে যাই তুলে ধরুক না কেন, একটি মানুষের মধ্যেও যে মনুষ্যত্ব জেগেছে এটাই বড় কথা।