Reels Addiction : রিল ভিডিয়োতে আসক্ত! প্রভাব পড়ছে আপনার শরীরে

রিলের আসক্তি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক হতে পারে।

Photo Credit pixabay

কলকাতা : রিলের আসক্তি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। সমীক্ষা বলছে, ইদানিং মানুষের রিল (Reels) দেখার প্রতি আসক্তি একেবারে তুঙ্গে পৌঁছে গিয়েছে। তা সে শিশু হোক বা বৃদ্ধ।

বর্তমানে রিলে আসক্ত এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, আগে তিনি মেট্রোতে যাতায়াতের সময় কিছু পড়তেন বা রেডিও শুনে সময় কাটাতেন।কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে সেই সময় তিনি রিল দেখে কাটাচ্ছেন।তিনি বলেন, ‘স্ক্রল করার সময় আমার পুরো দেড় ঘণ্টা কীভাবে কেটে যায় বুঝতেও পারি না। আমার সময়ের এমন অপব্যবহারের জন্য আমার খুব রাগ হচ্ছে, কিন্তু রিলের নেশা এমন হয়ে গেছে যে আমি নিজেকে এর থেকে বের করতে পারছি না। আমার মত আরো অনেকেই আছে যারা এই আসক্তির শিকার।’

রিল ও শর্টস কি?

৩০ সেকেন্ডের ছোট ভিডিওকে শর্টস বলা হয়। তবে কিছু ভিডিও ২ মিনিট পর্যন্তও হয়। রিলও এক ধরনের ছোট ভিডিও। টিকটক অ্যাপ দিয়ে রিল তৈরির উন্মাদনা শুরু হয়েছিল।

তবে ভারতে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার পর পরই লোকেরা ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে রিল পোস্ট করতে শুরু করে। যে কারণে মানুষ এতে আরও বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে। সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ রিল তৈরি করছেন। ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে আপলোড করা ছোট ভিডিওগুলিকে রিল বলা হয়। ইউটিউবের ছোট ভিডিওগুলোকে শর্টস বলা হয়।

রিলের প্রতি এত আকৃষ্ট হওয়ার কারণ কী ?

রিল ও শর্টসে বেশি কমেডি ভিডিও রয়েছে। তাই শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা এসব ভিডিও দেখে মজা পান।

কিভাবে এই আসক্তি থেকে মুক্তি পাবেন?

বন্ধু ও কাছের মানুষের সঙ্গে বেশি করে সময় কাটান। নিজের পছন্দের কাজে বা সখের জন্য সময় দিন। অল্প অল্প করে বই পড়ার অভ্যাস করুন।

সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ক্রমাগত রিল দেখার কারণে শিশুরা ভার্চুয়াল অটিজমের শিকার হচ্ছে (শিক্ষার ক্ষমতা কমে যাওয়া, দেরিতে কথা বলা ইত্যাদি)। এর কারণে তাদের থেরাপি ও চিকিৎসারও প্রয়োজন হচ্ছে। তাই শিশুদের হাতে মোবাইল দেওয়া বন্ধ করুন।