Tuberculosis Treatment: বড় সাফল্য! যক্ষ্মা রোগের নিরাময় আবিষ্কার করেছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা, জেনে নিন বিস্তারিত...

একটি বড় সাফল্য লাভ করেছে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা, যক্ষ্মা রোগের নিরাময় আবিষ্কার করেছেন তারা। যক্ষ্মার ওষুধ সরাসরি মস্তিষ্কে পৌঁছে দেওয়ার একটি নতুন উপায় তৈরি করেছেন আইএনএসটি-র বিজ্ঞানীরা। এই নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে যক্ষ্মার ওষুধ নাক থেকে মস্তিষ্কে পাঠানো হচ্ছে, যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে ছড়ানো যক্ষ্মা চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের যক্ষ্মা, মস্তিষ্ক এবং মেরুদন্ডকে প্রভাবিত করে। এর ফলে মাথাব্যথা, জ্বর, ঘাড় শক্ত হওয়া এবং স্নায়বিক উপসর্গের মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়।

সাধারণত যক্ষ্মা ওষুধ মস্তিষ্ক থেকে রক্তে পৌঁছাতে পারে না, কারণ একটি প্রতিরক্ষামূলক প্রাচীর যা মস্তিষ্ককে রক্ত থেকে আলাদা করে, যাকে বলা হয় রক্ত-মস্তিষ্কের বাধা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। তথ্য অনুসারে, চিটোসান ন্যানো-অ্যাগ্রিগেটস নামে মাইক্রো ন্যানো পার্টিকেল তৈরি করেছে বিজ্ঞানীরা। এই ন্যানো পার্টিকেলগুলি চিটোসান থেকে তৈরি করা হয়, যা একটি বায়োডিগ্রেডেবল এবং বায়োকম্প্যাটিবল উপাদান।

নাকের মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছানোর জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে ন্যানো পার্টিকেল। যক্ষ্মা ওষুধ এই পার্টিকেলগুলিতে লোড করা যেতে পারে। নাকের মধ্য দিয়ে ওষুধ পরিচালনার মাধ্যমে, এই ন্যানো পার্টিকেলগুলি ওষুধকে সরাসরি মস্তিষ্কে পৌঁছে দিতে পারে, যা সংক্রমণের জায়গায় ওষুধের জৈব উপলভ্যতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করে। এই নতুন পদ্ধতিটি শুধুমাত্র টিবি চিকিৎসায় নয়, মস্তিষ্কের অন্যান্য সংক্রমণ নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ (যেমন আলঝেইমারস এবং পারকিনসনস), ব্রেন টিউমার এবং মৃগীরোগের চিকিৎসায়ও কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে।



@endif