E-Coli Infection: ই-কোলাই ভাইরাসের কারণে নষ্ট হতে পারে কিডনি, জেনে নিন কীভাবে হয় মূত্রনালীর সংক্রমণ...
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ মানুষের মূত্রনালীর সংক্রমণের কারণ হতে পারে ই-কোলাই ভাইরাস। পুরুষদের তুলনায় মহিলারা ই-কোলাই ভাইরাসে আক্রান্ত বেশি হয়। ওই মহিলাদের মধ্যে অর্ধেক মহিলা তাদের জীবনে কোনও না কোনও সময় অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এবং বেদনাদায়ক উপসর্গ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। এই সংক্রমণ সাধারণত মূত্রাশয় বা মূত্রনালীতে হয়। এই সংক্রমণের ফলে পেলভিক ব্যথা, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, প্রস্রাব করার সময় ব্যথা অনুভব এবং প্রস্রাবে রক্ত বের হওয়ার মতো সমস্যা হয়। গুরুতর কিডনি সংক্রমণের কারণ হতে পারে এটি, যার ফলে হতে পারে জ্বর, পিঠে ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়ার মতো সমস্যা।
গবেষণায় জানার চেষ্টা করা হয়েছে যে, কীভাবে ই-কোলাই ভাইরাস নিজেদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সংক্রমণের সময় মানুষের পুষ্টি ব্যবহার করে। এই ভাইরাস কীভাবে কাজ করে তা জানার জন্য ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করেছে আমেরিকার গবেষকদের দল। গবেষকরা এমন জীবাণু জিনের সনাক্ত করেছে যা মিউট্যান্ট স্ট্রেনগুলি দেখে সংক্রমণ নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। গবেষকদের দল আবিষ্কার করেছে জিনগুলির একটি সেট। এই সেট পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে, যা ব্যাহত হলে ই-কোলাইয়ের প্রজননের হার কমাতে সাহায্য করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন জীবাণুর বৃদ্ধি হওয়ার জন্য অ্যামিনো অ্যাসিডের মতো কিছুর প্রয়োজন হয়, তখন তারা দুটি উপায়ে এটি পেতে পারে। প্রথম তারা নিজেরাই এটি তৈরি করতে পারে। দ্বিতীয়ত পরিবহন ব্যবস্থা ব্যবহার করে বৃদ্ধি করতে পারে। গবেষকদের দল এটিপি-বাইন্ডিং ক্যাসেট নামে এক ধরণের পরিবহন ব্যবস্থার খোঁজ পেয়েছে যা সংক্রমণের জন্য আবশ্যক। গবেষকদের মতে, এই পুষ্টি আমদানি সিস্টেমের অভাবের কারণে অনেক জীবাণু স্ট্রেন মূত্রাশয় এবং কিডনিতে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে অক্ষম ছিল। এই আবিষ্কারটি নতুন চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিকাশের পথ খুলে দিয়েছে, যা অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের ক্রমবর্ধমান যুগে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।