Diabetes Tips: শীতের মরসুমে ডায়াবেটিস রোগীদের সুস্থতার জন্য চিনি নিয়ন্ত্রণ করতে খান এই খাবারগুলো...

Credits: Pexels

ডায়াবেটিস একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। ডায়াবেটিসে অনেক সময় রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকে যা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে শরীরের অনেক অংশের ক্ষতি হতে পারে। এই কারণেই ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যাভ্যাস এবং দৈনন্দিন রুটিনে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে নিয়মিত সুগার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা জরুরি। শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হলে বা কোনও কারণে ইনসুলিনের উৎপাদন কমে যায়, তখন ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ডায়াবেটিসের চিকিৎসা না করা হলে ঘন ঘন চিনির মাত্রা বেড়ে যায়, যার ফলে হৃদরোগ, কিডনি রোগ, নিউরোপ্যাথি, পায়ের সমস্যা এবং দুর্বল দৃষ্টিশক্তির ঝুঁকি বেড়ে যায়। ডায়াবেটিসে খাদ্যাভ্যাসের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষ যা খায় এবং পান করে তার সরাসরি প্রভাব পড়ে সুগার লেভেলের ওপর। শীতের মরসুমে এমন অনেক খাবারের বিকল্প পাওয়া যায় যা চিনি নিয়ন্ত্রণে রাখার সঙ্গে অনেক ধরনের রোগ থেকেও শরীরকে রক্ষা করতে পারে। শীতের মরসুমে ডায়াবেটিস রোগীদের সুস্থতার জন্য চিনি নিয়ন্ত্রণ রাখতে খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে হবে কমলালেবু, গাজর, দারুচিনি এবং শীতকালীন সবজি।

কমলালেবুকে পটাশিয়াম, ফাইবার এবং ভিটামিন সি-এর ভালো উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভিটামিন সি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরে চিনির মাত্রা কমানোর পাশাপাশি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত কোষ পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রেও সহায়ক। শীতকালে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গাজর খাওয়াও খুবই উপকারী। গাজরের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে, তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এছাড়া গাজরে বিটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ পাওয়া যায়, যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে এবং রেটিনোপ্যাথির ঝুঁকি কমাতে উপকারী।

মসলা হিসেবে ব্যবহৃত দারুচিনিতে শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অনেক গবেষণায় জানা গিয়েছে, কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে দারুচিনি উপকারী। নিয়মিত দারুচিনি সেবন ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। চিনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত দারুচিনি চা পান করা খুবই উপকারী। এছাড়া শীতকালীন সবজি যেমন ব্রকলি, ফুলকপি এবং বাঁধাকপিতে খুব কম স্টার্চ থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এই সবজিতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া এই সবজিতে ভালো পরিমাণে ফাইবারও থাকে। সঠিক হজম বজায় রাখতে এবং চিনি ও কোলেস্টেরল বৃদ্ধি রোধ করতে এই সবজি খুবই উপকারী।