Almond Milk: বাদাম দুধ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, জেনে নিন বাদাম দুধ তৈরির সহজ পদ্ধতি...
বাদাম দুধ সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরে প্রদাহ কমানোর জন্য বাদাম দুধ পান করা শুরু করলে বাজার থেকে কেনা বাদাম দুধ এড়িয়ে চলা উচিত। বাজারে পাওয়া বাদাম দুধ খাওয়ার আগে প্যাকেটে উল্লেখ করা উপাদানগুলোর সম্বন্ধে জেনে নেওয়া উচিত। বাদামের ওজন খুবই কম হলেও এর মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টিকর উপাদান। বাজার থেকে প্যাকেটজাত বাদাম দুধ কেনার পরিবর্তে, বাড়িতে তৈরি খাঁটি এবং স্বাস্থ্যকর বাদাম দুধ পান করা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।
বাদাম দুধ তৈরি করার জন্য প্রয়োজন ১ কাপ বাদাম, ৪ কাপ ফিল্টার করা জল, ১-২ কাপ খেজুর, ১ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স এবং সামান্য লবণ। বাদাম দুধ তৈরি করার জন্য প্রথমে সারারাত একটি পাত্রে বাদাম জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। জলে ভিজিয়ে রাখার ফলে, বাদামগুলি অনেক নরম হয়ে যায়, যার কারণে তাদের মিশ্রিত করা এবং অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্টগুলি দূর করা সহজ হয়ে যায়। সকালে ভেজানো বাদাম জল থেকে তুলে ঠান্ডা জলে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
ভেজানো বাদামের সঙ্গে ৪ কাপ ফিল্টার করা জল ব্লেন্ডারের সাহায্যে মিশিয়ে নিতে হবে, বাদাম সম্পূর্ণরূপে মিশ্রিত হয়ে গেলে মিশ্রণটি ক্রিমি দেখতে লাগে। ছাঁকনির সাহায্যে বাদামের মিশ্রণটি ছেঁকে নিয়ে স্বাদ অনুযায়ী মিষ্টি যুক্ত করতে হবে। এছাড়া মিশ্রণটির মধ্যে যুক্ত করা যেতে পারে ১-২টি ব্লেন্ড করা খেজুর, ভ্যানিলা এসেন্স এবং সামান্য লবণ। এই বাদাম দুধ একটি কাচের বোতলে ভরে ফ্রিজে স্টোর করে রাখা যেতে পারে। বাদামের দুধ ৪-৫ দিনের জন্য ফ্রিজে সংরক্ষণ করা সম্ভব। এই বাদাম দুধ পান করার আগে মিশ্রণটি চামচ দিয়ে আরেকবার ভালো মিশিয়ে নিতে হবে।