Vishwakarma Jayanti 2024: বিশ্বকর্মা জয়ন্তী কবে? জেনে নিন বিশ্বকর্মা জয়ন্তীর গুরুত্ব ও পুজোর পদ্ধতি...
ভগবান বিশ্বকর্মাকে উৎসর্গ করা হয় বিশ্বকর্মা জয়ন্তী। এই পৃথিবীর প্রথম ভাস্কর, স্থপতি এবং প্রকৌশলী বলা হয় ভগবান বিশ্বকর্মাকে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র শহর দ্বারকাও তৈরি করেছিলেন ভগবান বিশ্বকর্মা। এছাড়া দেব-দেবীদের জন্য নানা ধরনের অস্ত্র তৈরি করেছিলেন ভগবান বিশ্বকর্মা। পুরাণ অনুসারে, ব্রহ্মার আদেশে বিশ্ব সৃষ্টি করেছিলেন বিশ্বকর্মা। বিশ্বের স্রষ্টা বিশ্বকর্মার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছর পালন করা হয় বিশ্বকর্মা জয়ন্তী। মহাবিশ্বের স্রষ্টা এবং প্রথম স্থপতি হিসেবে পালন করা হয় বিশ্বকর্মার জন্মবার্ষিকী।
২০২৪ সালে বিশ্বকর্মা জয়ন্তী পালন করা হবে ১৭ সেপ্টেম্বর। বিশ্বকর্মা জয়ন্তীর দিন প্রথমে ব্রহ্মমুহূর্তে উঠে স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরা হয়। বিশ্বকর্মা জয়ন্তী উপলক্ষে পুজোর স্থানে রাখা হয় লোহার মেশিন বা লোহার তৈরি জিনিসপত্র। পুজোর আগে প্রতিটি বস্তুতে লাগানো হয় হলুদ ও চালের অক্ষত। এরপর পুজোয় রাখা কলশে হলুদের তিলক লাগিয়ে রক্ষা সূত্র দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। এরপর মন্ত্র জপ করে শুরু করা হয় পুজো। পুজো শেষ হলে সবার মধ্যে বিতরণ করা হয় প্রসাদ।
পুজোর সামগ্রীতে থাকে সুপারি, রোলি, হলুদ অষ্টগন্ধা চন্দন, হলুদ, লবঙ্গ, মলি, কাঠের পদ, হলুদ কাপড়, মাটির পাত্র, নবগ্রহ সমিধা, পবিত্র সুতো, এলাচ, সুগন্ধি, শুকনো খোল, নারকেল সহ পুজোর উপকরণে ধূপ, ফল, মিষ্টি, বটি, কর্পূর, দেশি ঘি, হবনকুণ্ড, আম কাঠ, দই, ফুল। মহাবিশ্বের প্রথম প্রকৌশলী বলা হয় ভগবান বিশ্বকর্মাকে। মান্যতা রয়েছে যে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বাড়িতে, দোকানে বা কারখানায় লোহার জিনিসের পুজো করা হয়। ভগবান বিশ্বকর্মার কৃপায় এই যন্ত্রগুলো সহজে নষ্ট হয় না। কাজের উন্নতির পাশাপাশি ভগবান বিশ্বকর্মার আশীর্বাদও বজায় থাকে। ভারতের অনেক জায়গায় অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালন করা হয় বিশ্বকর্মা জয়ন্তী।