Kali Puja 2019: রাত পোহালেই কালীপুজো, জেনে নিন কলকাতার পুজোগুলির কোথায় কী আকর্ষণ

শুক্রবার কালীপুজো। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্যই কালী পুজো (Kali Puja) করা হয়। দেবী কালীর (Kali) অসংখ্য নামের মধ্যে দক্ষিণ, সিদ্ধ, গুণ্য, ভদ্র, শ্মশান, রক্ষা ও মহাকালী। দেবী কালীর আবির্ভাব সম্পর্কে বলা হয়েছে যে দেবতা আর অসুরদের যুদ্ধে পরাজিত দেবতাদের প্রার্থনায় আদ্যাশক্তি ভগবতি পার্বতীর দেহ কোষ থেকে দেবী কৌশিকী আবির্ভূত হন। তখন ভগবতী দেবী কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেন বলে তাঁর নাম কালী বা কালিকা। কথিত আছে বঙ্গদেশে দক্ষিণ কালিকার পুজো প্রবর্তন করেন কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ (Krishnananda Agamavagisha) (আনুমানিক ১৫০০-১৬০০ শতক) মতান্তরে ১৭৭৭ খ্রিষ্টাব্দে। কালীনাথ রচিত ‘শ্যামা সপর্যাবিধি'তে এই পুজোর সর্ব প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রচলিত মত ও ইতিহাসবিদদের সমর্থন অনুযায়ী, কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে প্রথম দক্ষিণাকালীর রূপ কল্পনা করেন। বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠিত মা কালীর রূপেই সম্পূর্ণ বাংলা ও তার বাইরে কালীপুজো হয়। বাকি আর মাত্র কয়েকঘণ্টা। স্বাভাবিকভাবেই পুজোর প্রস্তুতিতে ব্যাস্ত কালীপুজোর উদ্যোক্তারা। মণ্ডপসজ্জা থেকে প্রতিমার শেষ তুলির শেষ টান দিতে ব্যস্ত শিল্পীরাও। ইতিমধ্যেই শহরের কোথাও কোথাও আলোর রোশনাই শুরু হয়ে গেছে। দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও শহরের বিভিন্ন মণ্ডপে লেগেছে থিমের ছোঁয়া। দেখে নেব কলকাতার পুজোগুলির কোথায় কী থিম, কোথায় এবার কেমন সাজছে প্রতিমা। বিভিন্ন ক্লাবের কালীমূর্তিতে থাকছে নানা বৈচিত্র। কেউ বা সাবেক রীতি আঁকড়ে রেখে দর্শক টানেন, কেউ আবার দুর্গাপুজোর মতোই কালীপুজোতেও থিমের চমকে মেতেছেন। থাকছে আলোর ক্ষেত্রেও নতুনত্ব। খিদিরপুরের সর্বশ্রী সংঘ: এখানে কালীপুজো জাঁকজমক করে হয়। এ বছর প্রতিমার উচ্চতা ১৯ ফুট। মণ্ডপে শ্যামাকালী পুজো হয়। এখানেও মণ্ডপ ও এলাকা সেজেছে চন্দননগরের আলোয়। তবে এখানে থিম নয়, প্রতিমা ও আলোকসজ্জাতেই জোর দেন উদ্যোক্তারা।

Photo: pexels

রবিবার কালীপুজো। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্যই কালী পুজো (Kali Puja) করা হয়। দেবী কালীর (Kali) অসংখ্য নামের মধ্যে দক্ষিণ, সিদ্ধ, গুণ্য, ভদ্র, শ্মশান, রক্ষা ও মহাকালী। দেবী কালীর আবির্ভাব সম্পর্কে বলা হয়েছে যে দেবতা আর অসুরদের যুদ্ধে পরাজিত দেবতাদের প্রার্থনায় আদ্যাশক্তি ভগবতি পার্বতীর দেহ কোষ থেকে দেবী কৌশিকী আবির্ভূত হন। তখন ভগবতী দেবী কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেন বলে তাঁর নাম কালী বা কালিকা। কথিত আছে বঙ্গদেশে দক্ষিণ কালিকার পুজো প্রবর্তন করেন কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ (Krishnananda Agamavagisha) (আনুমানিক ১৫০০-১৬০০ শতক) মতান্তরে ১৭৭৭ খ্রিষ্টাব্দে। কালীনাথ রচিত ‘শ্যামা সপর্যাবিধি'তে এই পুজোর সর্ব প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রচলিত মত ও ইতিহাসবিদদের সমর্থন অনুযায়ী, কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে প্রথম দক্ষিণাকালীর রূপ কল্পনা করেন। বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠিত মা কালীর রূপেই সম্পূর্ণ বাংলা ও তার বাইরে কালীপুজো হয়। বাকি আর মাত্র কয়েকঘণ্টা। স্বাভাবিকভাবেই পুজোর প্রস্তুতিতে ব্যাস্ত কালীপুজোর উদ্যোক্তারা। মণ্ডপসজ্জা থেকে প্রতিমার শেষ তুলির শেষ টান দিতে ব্যস্ত শিল্পীরাও। ইতিমধ্যেই শহরের কোথাও কোথাও আলোর রোশনাই শুরু হয়ে গেছে। দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও শহরের বিভিন্ন মণ্ডপে লেগেছে থিমের ছোঁয়া। দেখে নেব কলকাতার পুজোগুলির কোথায় কী থিম, কোথায় এবার কেমন সাজছে প্রতিমা। বিভিন্ন ক্লাবের কালীমূর্তিতে থাকছে নানা বৈচিত্র। কেউ বা সাবেক রীতি আঁকড়ে রেখে দর্শক টানেন, কেউ আবার দুর্গাপুজোর মতোই কালীপুজোতেও থিমের চমকে মেতেছেন। থাকছে আলোর ক্ষেত্রেও নতুনত্ব।

খিদিরপুরের সর্বশ্রী সংঘ: এখানে কালীপুজো জাঁকজমক করে হয়। এ বছর প্রতিমার উচ্চতা ১৯ ফুট। মণ্ডপে শ্যামাকালী পুজো হয়। এখানেও মণ্ডপ ও এলাকা সেজেছে চন্দননগরের আলোয়। তবে এখানে থিম নয়, প্রতিমা ও আলোকসজ্জাতেই জোর দেন উদ্যোক্তারা।

রসা ইয়ং মেনস অ্যাসোসিয়েশন: এই পুজো এবার ৭০ বছরে পা দিল। প্রতিমা সাবেক হলেও মণ্ডপে রয়েছে থিমের ছোঁয়া। এখানে দেবীর গায়ের রং কালো। কাল্পনিক মন্দিরের আদলে বিশাল মণ্ডপ। ভিতরে সেই মন্দিরের কারুকার্য ফুটেয়ে তোলা হয়েছে। মণ্ডপের ভেতরে লাগানো হয়েছে ঝাড়বাতি।

খিদিরপুরের রাঙাজবা স্পোর্টিং ক্লাবে: এই কমিটির পুজো এবার ৫৫ বছরে পদাপর্ণ করল। মণ্ডপসজ্জা সাধারণ হলেও চন্দননগরের আলোকসজ্জায় ভরিয়ে তোলা হয়েছে গোটা মণ্ডপ।

আমহার্স্ট স্ট্রিট যুবশ্রী: গতবছর এই উদ্যোক্তাদের পুজোয় কালীমূর্তির পাশে অসুর ও ডাকিনীর প্রেম নিবেদন ও বিয়ে দেখানো হয়েছিল। এবার মণ্ডপসজ্জায় দেখানো হবে ডাকিনীকে নিয়ে অসুর জামাইষষ্ঠী করতে যাচ্ছে। অসুরের হাতে রয়েছে একটা বড় মাছ। প্রেমের বার্তা ছড়িয়ে দিতেই অসুর ও ডাকিনীর প্রেমপর্ব দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এই পুজোয় ২০০ কেজি পোলাও এবং ২০০ কেজি আলুর দম করা হবে। ভোগ রান্না হয় গঙ্গাজল দিয়ে।

আহিরীটোলা সর্বজনীন: আহিরিটোলা সর্বজনীন পুজোতে এবার ৮৪ বছরে পা দিচ্ছে। প্রতিবছরই পুজোয় কিছু না কিছু করে থাকেন উদ্যোক্তারা। সাবেক প্রতিমার উপর জোর দেওয়া হয়েছে এবছর। এবারের পুজোয় থিম হচ্ছে প্লাস্টিক বিরোধিতা। মণ্ডপসজ্জায় কাগজের কাপ, থালা, গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে।

পাথুরিয়াঘাটা সর্বজনীন: এই পুজোয় এবার প্রায় ৩০ ফুটের সাবেক কালীপ্রতিমা। হাতে থাকছে পাঁচ ফুট লম্বা রুপোর খাঁড়া। সোনায় মোড়া প্রতিমা।

নলিন সরকার স্ট্রিট: নলিন সরকার স্ট্রিটের কালীপুজোয় প্রতিমায় সাবেকির ছোঁয়া থাকলেও আলোকসজ্জায় চমক আনতে চলেছেন উদ্যোক্তারা। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উপরে তৈরি আলোকসজ্জা।

বৃন্দাবন বোস লেনের নেতাজি তরুণ সংঘ: এই ক্লাবের প্রতিমা এবারও সাবেকি। তবে এবার এই পুজোয় বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবে বাজি প্রতিযোগিতা।

কালীঘাট তরুণ সংঘ: এ বছর এদের থিম ‘ধর্মের কল বাতাসে নড়ে’। বিজ্ঞানের অগ্রগতি আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষের জীবনযাপনের মান উন্নত থেকে উন্নততর হয়েছে। প্রযুক্তির নিরন্তর প্রলেপ লেগেছে সভ্যতার গায়ে। অতি আধুনিকতার ঝাঁ চকচকে মোড়কে বন্দি হয়েছে নাগরিক মুখ। এখন যান্ত্রিক সুখে অভ্যস্ত সবাই। অন্যদিকে, ধর্ম নিয়ে মাতামাতির শেষ নেই। খামতি নেই নিজ নিজ ধর্মের গুরু বা দেবতাকে নিয়ে উন্মাদনার। অথচ, প্রকৃতি আজ অবহেলায় বিপর্যস্ত। এখনও সময় আছে শুধরে নেওয়ার। পৃথিবীর বুকে মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে এখনই পরস্পরের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে হৃদ্যতার সম্পর্ক। না হলে নিস্তার নেই। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই এবার থিম। মণ্ডপসজ্জায় সেই থিমের সঙ্গে সাজুয্য রেখেই উপকরণ ব্যবহার করেছেন উদ্যোক্তারা।

খিদিরপুর সর্বজনীন: এদের প্রতিমাও সাবেকি। এখানকার মণ্ডপে কোনও বিশেষ থিমের ব্যবহার করা হয় না। এখানকার একমাত্র আকর্ষণ হল প্রতিমাকে সোনা ও রুপো দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়।

গিরিশ পার্ক ফাইভ স্টার স্পোর্টিং ক্লাব: এ বছরের থিম ‘ডাক’। সৃষ্টির শুরু থেকে সমাজে নানারূপে বিবর্তন হয়েছে। সেই বিবর্তনকেই থিম আকারে তুলে ধরা হয়েছে। প্রায় ১৩-১৪ ফুটের প্রতিমায় থাকছে নানা ধরনের অলঙ্কার।

এন্টালির ভারতীয় সমিতি: এই ক্লাবের পুজো এবছর ৯০ বছরে পা দিল। এই পুজোর বিশেষ আকর্ষণ সোনা ও রুপোর অলঙ্কার দিয়ে সজ্জিত করা হয় প্রতিমাকে। এছাড়াও থাকে বাজির প্রতিযোগিতা। থিম হিসেবে কাল্পনিক রথ তৈরি করা হয়েছে।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now