16 December Bijoy Dibosh 2020: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মিলেছিল ভারতের ঐতিহাসিক জয়; জেনে নিন বিজয় দিবসের তাৎপর্যময় ইতিহাস
ভারতে ১৬ ডিসেম্বর পালন করা হয় বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তানের থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার জয়ের এই দিনটিই প্রতিবছর উদযাপন করা হয়। যুদ্ধের সমাপ্তির ফলশ্রুতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একতরফা ও নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে এবং পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তান, পাকিস্তান রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ গঠিত হয়।
Bijoy Dibosh 2020: ভারতে ১৬ ডিসেম্বর পালন করা হয় বিজয় দিবস (Bijoy Dibosh)। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তানের থেকে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার জয়ের এই দিনটিই প্রতিবছর উদযাপন করা হয়। যুদ্ধের সমাপ্তির ফলশ্রুতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একতরফা ও নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে এবং পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তান, পাকিস্তান রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ গঠিত হয়।
১৯৭১ সালে এই দিনে পরাজিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ্ খান নিয়াজি ঢাকার রমনা রেসকোর্সে ৯৩,০০০ সেনাদলের সঙ্গে জেনারেল জগজিৎ সিং আরোরার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। আরও পড়ুন, কার্গিল যুদ্ধ জয়ের ২১ বছর, বীর সেনাদের শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, রাজনাথ সিং ও অমিত শাহ
ভারতে প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর তারিখটি এরপর থেকে "বিজয় দিবস" হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এই দিন রাজধানী দিল্লিতে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর তিন শাখার প্রধানেরা ইন্ডিয়া গেটের অমর জওয়ান জ্যোতিতে মাল্যদান করেন। এছাড়াও ২৬ জুলাই তারিখটি যে কার্গিল বিজয় দিবস হিসাবে পালিত হয়, সেটিকেও সাধারণভাবে বিজয় দিবস বলা হয়ে থাকে। ১৯৯৯ সালে এই দিনটিতে ভারতের সামরিক বাহিনী কার্গিল যুদ্ধে পাকিস্তানি ফৌজকে পরাস্ত করেছিল।
তবে আজকের দিনটিকে বিশেষভাবে উদযাপন করা হয় বাংলাদেশে। বিজয় দিবস বাংলাদেশে বিশেষ দিন হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশের সর্বত্র পালন করা হয়। ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই দিনটিকে বাংলাদেশে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয় এবং সরকারিভাবে এই দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
৯ মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানী বাহিনীর প্রায় ৯১,৬৩৪ সদস্য বাংলাদেশ ও ভারতের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এর ফলে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। ভারতেও এই দিনটি বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে।
১৬ ডিসেম্বর ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবসের সূচনা ঘটে। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যরা যোগ দেন। কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন দেশটির প্রধান রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী। এই কুচকাওয়াজ দেখার জন্য প্রচুরসংখ্যক মানুষ জড়ো হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে ঢাকার সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে থাকেন। ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশে বিজয় দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, চলচ্চিত্র, কবিতা, নিবন্ধ, গণমাধ্যম ইত্যাদি বিভিন্নভাবে এই বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়।