Ayodhya Case Hearing, Day 40: আজ পাঁচটায় শেষ হবে অযোধ্যা মামলা, প্রত্যাহার করতে পারে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, কেন জানেন?

বড় খবর, সুপ্রিম কোর্ট থেকে অযোধ্যা মামলা (Ram Janmabhoomi-Babri Masjid case) প্রত্যাহার করে নিতে পারে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড (Sunni Waqf Board)। বরং তার বদলে অযোধ্যার ওই বিতর্কিত জমির উপরে মালিকানা দাবি করে পাল্টা হলফনামা দাখিল করতে পারে বোর্ড। এমনটাই শোনা যাচ্ছে। বুধবার অযোধ্যা মামলার ৪০-তম শুনানিতেই এই ঘটনা ঘটতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাবরি মসজিদ (Photo Credit: IANS)

নতুন দিল্লি, ১৬ অক্টোবর: আজ বিকেল পাঁচটায় শেষ হবে অযোধ্যা মামলার শুনানি। বড় খবর, সুপ্রিম কোর্ট থেকে অযোধ্যা মামলা (Ram Janmabhoomi-Babri Masjid case) প্রত্যাহার করে নিতে পারে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড (Sunni Waqf Board)। বরং তার বদলে অযোধ্যার ওই বিতর্কিত জমির উপরে মালিকানা দাবি করে পাল্টা হলফনামা দাখিল করতে পারে বোর্ড। এমনটাই শোনা যাচ্ছে। বুধবার অযোধ্যা মামলার ৪০-তম শুনানিতেই এই ঘটনা ঘটতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। মূলত, উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ ফারুকির বিরুদ্ধে (Zafar Ahmed Farooqui) সিবিআই তদন্তের প্রসঙ্গ উঠতেই এই ভোলবদল। অবৈধভাবে জমি কেনা বেচার সঙ্গে ফারুকির যুক্ত থাকার ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনটি এফআইআর-ও দায়ের হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁকে নিরাপত্তাও দেওয়া হয়েছিল যার শুনানি সামনেই।

সূত্রের খবর, এই নিরাপত্তা পেয়েই ফারুকি তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে অযোধ্যা মামলার রেকর্ড বদলের চেষ্টা করেছেন। এর মাঝে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে এনিয়ে একপ্রস্থ আলোচনাও সারেন তিনি। এই মামলার আইনজীবী প্যানেলের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই এসব করেছেন ফারুকি এমনকী, বিষয়টি নিয়ে দিল্লির আইনজীবীদের সঙ্গেও কোনও বার্তালাপ করেননি। এদিন অযোধ্যা মামলার শুনানির শেষ দিন। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড মামলা প্রত্যাহারের দাবি করলেও তাতে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে। আইন বিশেষজ্ঞদের দাবি ফারুকির অনুরোধে বিশেষ কিছু লাভ হবে না বললেই চলে। আরও পড়ুন-Ayodhya Case Hearing, Day 39: ‘মুসলিমরা অন্য কোথাও নামাজ পড়ুক, অযোধ্যা শুধুই হিন্দুদের’

এদিকে গতকালই কে পরাশরণ বলেছেন, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে বাবরি মসজিদের আগে রামমন্দির ছিল। সেই মন্দির ধ্বংস করে বাবরি মসজিদ তৈরি হয়। বর্তমানে ওই জমিতে ফের মন্দির তৈরি হলে তা যেন সেই পুরনো মন্দিরের আদলেই হবে। কোনও বিজয়ীরই ভারতের ইতিহাস ধ্বংসের অধিকার নেই। মুসলিমরা অন্য কোনও মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ুক। এই জমি হিন্দুদের জন্য ছেড়ে দিক। যেহেতু তারা মেনে নিয়েছে যে রামচন্দ্রের জন্ম এখানেই হয়েছিল। তাই জন্মস্থান বদল করা যাবে না। অন্যদিকে অযোধ্যা সবমিলিয়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি মসজিদ রয়েছে তাই মুসলিমদের অন্যত্র নামাজ পড়তেও কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। যেখানে রামমন্দির ছিল। সেই জমির মালিকানা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তবে কেমন করে সেই জমিতে বাবরি মসজিদ নির্মাণের দাবি তোলে মুসলিমরা, প্রশ্ন পরাশরণের। কথা প্রসঙ্গে তিনি বিজয়ী ও সম্রাটের মধ্যে পার্থক্যও করেন। নিজের যুক্তিতে জোর রাখতে বাবর প্রসঙ্গও টানেন পরাশরণ। বাবরকে তিনি বিদেশি বিজয়ী বলে উল্লেখ করেন। কেউ কোনও বিতর্কিত জমি জিতে নিলেই সেটিতে তার মালিকানা স্থাপিত হতে পারে না।