নির্মলা সীতারমণের অর্থনৈতিক দাওয়াইকে বুড়ো আঙুল দেখিযে পড়ছে টাকার দাম, শেয়ার বাজারে জোর ধাক্কা
শুল্ক নিয়ে আমেরিকা ও চিনের বাণিজ্য-যুদ্ধের রেশ ছড়াচ্ছে এ দেশের বাজারেও। দেশীয় সংস্থাগুলি তার জেরে ধাক্কা খাচ্ছে। একই সঙ্গে, চিনা মুদ্রার পতনের ফলেও ডলারের তুলনায় টাকার দামে নিম্নমুখী। সোমবার দিনের শুরুতেই ডলারে প্রতি টাকার দাম ৪২ পয়সা কমে দাঁড়ায় ৭২.০৮। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই নিম্নমুখী প্রবণতাও বজায় থাকে।
দিল্লি, ২৬ আগস্ট: শুল্ক নিয়ে আমেরিকা ও চিনের বাণিজ্য-যুদ্ধের রেশ ছড়াচ্ছে এ দেশের বাজারেও। দেশীয় সংস্থাগুলি তার জেরে ধাক্কা খাচ্ছে। একই সঙ্গে, চিনা মুদ্রার পতনের ফলেও ডলারের তুলনায় টাকার দামে নিম্নমুখী। সোমবার দিনের শুরুতেই ডলারে প্রতি টাকার দাম ৪২ পয়সা কমে দাঁড়ায় ৭২.০৮। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই নিম্নমুখী প্রবণতাও বজায় থাকে। শেয়ার বাজারের কারবার শুরুর কিছু ক্ষণের মধ্যেই টাকার দামে আরও পতন ঘটে। ৫৯ পয়সা কমে গিয়ে এক সময় ১ ডলারের দাম হয় ৭২.২৫ টাকা। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নরেন্দ্র মোদি সরকারের (PM Narendra Modi Govt) একগুচ্ছ দাওয়াই ঘোষণার মধ্যেই এই প্রবণতায় স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে শেয়ার বাজারে।
তবে চিনা মুদ্রার দাম পড়ে যাওয়ায় ভারতের বাজারেও আশঙ্কার মেঘ দানা বেঁধেছে। গত ১১ বছরের মধ্যে ডলারের তুলনায় চিনা মুদ্রা ইউয়ানে সবচেয়ে বেশি পতন ঘটেছে। ১ ডলার ইউয়ানের দাম দাঁড়িয়েছে ৭.১৪৮৭। যা গত ২০০৮-এর পর থেকে এশীয় বাজারে সবচেয়ে কম। এদিকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক হালের ছায়া পড়েছে ভারতেও। এদেশের বাজারে হু হু করে পড়ছে টাকার দাম। যদিও বিশেষজ্ঞদের ধারণা খুব শিগগির এই পরিস্থিতি কেটে যাবে।, ভারতের বাজারে এক শ্রেণির বিদেশি আর্থিক লগ্নিকারী সংস্থা (এফপিআই)-কে ফেরানোর প্রচেষ্টা থেকে শুরু করে দেশীয় শিল্পকে নগদ অর্থ জোগান দেওয়া, কম খরচে ঋণের ব্যবস্থা করছে সরকার। একই সঙ্গে সাধারণের ধারের কিস্তিতে ছাঁটাই করা বা গাড়ির বিক্রি বৃদ্ধি, এসব উদ্যোগ ইতিমধ্যেই নিয়ে ফেলেছে কেন্দ্র। এর জেরে যে দেশের বাজার আবার চাঙ্গা হয়ে উঠবে তাতে নিশ্চিত শেয়ার বাজার। মনে করা হচ্ছে বিদেশী বিনিয়োগ কারীর হাত ধরেই সুদিন ফিরবে, গাড়ি শিল্পের বাজারও উন্নত হবে। আরও পড়ুন-বিজয়া দশমী থেকেই বন্ধ কর সন্ত্রাস, জানিয়ে দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে আমেরিকা ও চিনের শুল্ক-যুদ্ধ বর্তমান। যার বিরূপ প্রভাব থেকে বাদ যাচ্ছে না বিশ্ব অর্থনীতি। সেই ঢেউ এবার ভারতের বাজারেও এসে লাগল। গত শুক্রবারই আমেরিকা ও চিন— দু’দেশই পরস্পরের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আবহেও এই প্রবণতা যে কমছে না তা টুইটবার্তায় ভালরকম বুঝিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (US President Donald Trump) । মার্কিন সংস্থাগুলিকে চিন ছাড়ার জন্য ইতিমধ্যে ‘নির্দেশ’ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, চিনা পণ্যে আরও শুল্ক চাপানোর জন্যও নিজেকেই দুষেছেন।