Uttar Pradesh: শিশুকে মৃত দাবি করে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়, শেষকৃত্যের সময়ে আচমকাই নড়ে উঠল সন্তানের হাত
কাপড়ে মোড়ানো মৃত শিশুকে নিয়ে বাড়ি ফেরে পরিবার। কিন্তু সন্তানের শেষকৃত্যের সময়ে ঘটল সেই অবাক করা ঘটনা। আচমকাই তাঁরা লক্ষ্য করেন, নিঃশ্বাস নিচ্ছে তাঁদের সন্তান।
হাপুর, ৯ মেঃ পাঁচ মাসে জন্ম নিয়েছিল শিশুর। প্রিম্যাচিওর শিশুটিকে (Premature Baby) মৃত বলে দাবি করে হাসপাতালের আবর্জনায় ফেলে দেওয়া হয়। মৃত শিশুকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে আয়োজন করা হয় শেষকৃত্যের। এমন সময়ে আচমকাই নড়ে উঠল মৃত শিশুর হাত। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) হাপুর (Hapur) জেলার ঘটনায় চাঞ্চল্য। ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উঠেছে গাফিলতির অভিযোগ।
শিশুটির বাবা আবদুল ভাতিন জানান, তাঁদের শিশু পাঁচ মাসে জন্ম নিয়েছিল। কিন্তু সন্তান জন্মের পর তাঁদের বলা হয় শিশুটি প্রিম্যাচিওর (Premature Baby) হওয়ার দরুন মারা গিয়েছে। এই বলে হাসপাতালের ডাস্টবিনেই ফেলে দেওয়া হয় সন্তানকে। বহু জোরাজুরির পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত শিশুকে পরিবারের হাতে তুলে দিতে রাজি হয়। কাপড়ে মোড়ানো মৃত শিশুকে নিয়ে বাড়ি ফেরে পরিবার। কিন্তু সন্তানের শেষকৃত্যের সময়ে ঘটল সেই অবাক করা ঘটনা। আচমকাই তাঁরা লক্ষ্য করেন, নিঃশ্বাস নিচ্ছে তাঁদের সন্তান। সঙ্গে সঙ্গে সন্তানকে নিয়ে নিকটবর্তী হাসপাতালে যায় পরিবার। কিন্তু স্থানীয় হাসপাতালে শিশুটির উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় মিরাটের (Meerut) জেলা হাসপাতালে স্থানান্তিরিত করা হয় তাঁকে।
রবিবার নাজমা খান (৩৮) প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই এক সিরিয়র চিকিৎসকের হাতে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। চারটি মেয়ের পর এদিন ছেলের জন্ম দিয়েছিলেন নাজমা। তিনি জানান, সন্তানের জন্মের পর ওকে মৃত দাবি করে ডাস্টবিনে ফেলে দেয় হাসপাতাল কর্মীরা। হাসপাতাল থেকে মৃত শিশুকে বাড়ি ফিরিয়ে এনে তাঁর শেষকৃত্যের সময়ে সকলে খেয়াল করেন, মৃত শিশু নিঃশ্বাস নিচ্ছে। তাঁর হাত নড়ছে।
জীবিত প্রিম্যাচিওর শিশুকে উপযুক্ত চিকিৎসা না দিয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করার জন্যে হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছে গাফিলতির অভিযোগ। হাপুরের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার সুনীল কুমার ত্যাগি জানান, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি দলকে এই ঘটনার তদন্তের জন্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর ওই হাসপাতাল যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।