Mann Ki Baat: সমাজ পরিবর্তনে নারী শক্তির কৃতিত্ব, 'মন কি বাতে' 'ভারত কি লক্ষ্মী'-র প্রচার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
রবিবার মাসিক মন কি বাত (Mann Ki Baat) রেডিও প্রোগ্রাম বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আজ আবার কালীপুজো (Kali puja) ও দীপাবলি (Deepavali)। তাই মাসিক রেডিও প্রোগ্রামে দেশবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই অনুষ্ঠানে দীপাবলি ছাডা়ও প্রধানমন্ত্রী 'ভারত কি লক্ষ্মী'-র প্রচার করেন। যেখানে তিনি সমাজে পরিবর্তন আনায় মহিলাদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
নতুন দিল্লি, ২৭ অক্টোবর: রবিবার মাসিক মন কি বাত (Mann Ki Baat) রেডিও প্রোগ্রাম বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আজ আবার কালীপুজো (Kali puja) ও দীপাবলি (Deepavali)। তাই মাসিক রেডিও প্রোগ্রামে দেশবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই অনুষ্ঠানে দীপাবলি ছাডা়ও প্রধানমন্ত্রী 'ভারত কি লক্ষ্মী'-র প্রচার করেন। যেখানে তিনি সমাজে পরিবর্তন আনায় মহিলাদের ভূমিকা ও কৃতিত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
একনজরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য:
- আজ দীপাবলি। বিশ্বের অনেক জায়গায় এই দিনটি উদযাপিত হয়। কেবল ভারতীয়রাই নয়। বহু দেশের সরকার তাদের নাগরিক এবং সেখানকার সামাজিক সংগঠনগুলিও এই উৎসবে উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করে। তারা সেখানেই 'ভারত' তৈরি করে। আমরা এই দীপাবলিতে কিছু আলাদা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি আপনাদের সকলকে ভারতের নারীশক্তি, নারীর কৃতিত্ব উদযাপন করার জন্য অনুরোধ করেছি। যার মাধ্যমে ভারতের লক্ষ্মীকে অভিনন্দন জানানো যাবে।
- আমার প্রিয় দেশবাসী এবছর ১২ নভেম্বর গুরু নানক দেব জি-র ৫৫০ তম জন্ম উৎসব বিশ্বজুড়ে পালিত হবে। গুরু নানক দেব (Guru Nanak) জি-র প্রভাব কেবল ভারতে নয়। সারা বিশ্বে অনুভব করা যায়। গুরু নানক দেব জি সম্পর্কে আরও অনেক কিছুই রয়েছে যা আমি আপনার সাথে ভাগ করে নিতে পারি। তবে এর জন্য 'মন কি বাত'-র অনেক একটি পর্বের প্রয়োজন হবে। গুরু নানক জি অনেক উল্লেখযোগ্য আধ্যাত্মিক ভ্রমণ করেছিলেন। সম্প্রীতি ও সাম্যের বার্তা বহন করে তিনি উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব এবং পশ্চিম ভ্রমণ করেছেন। সধারণ নাগরিক, সাধুদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। কিছু দিন আগে প্রায় ৮৫ টি দেশের রাষ্ট্রদূত দিল্লি থেকে অমৃতসর গেছিলেন স্বর্ণ মন্দির দেখতে।
- আমি নিশ্চিত যে আপনারা সবাই ৩১ অক্টোবরে তাৎপর্য জানেন। ওইদিন লৌহ পুরুষ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের (Vallabhbhai Patel) জন্মবার্ষিকী। দেশকে একসূত্রে বাঁধায় যার অবদান স্মরণীয়। সর্দার প্যাটেল একদিকে জনগণকে একত্রিত করার বিরল মানের অধিকারী। অন্যদিকে, তিনি তাঁর সাথে আদর্শগত মিল না থাকা ব্যক্তিদের সাথে ভারসাম্য বজায় রাখতে সক্ষম ছিলেন। কনস্টিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলিতে দুর্দান্ত ভূমিকার জন্য আমাদের দেশ সর্বদা তাঁর কাছে ঋণী থাকবে। তিনি মৌলিক অধিকারসমূহের সুনির্দিষ্টকরণের লক্ষ্যে সচেষ্ট ছিলেন যা জাতি ও সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে বৈষম্যের কোনও সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দেয়।
- আমরা সকলেই জানি যে ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে সর্দার প্যাটেল দেশকে একত্রিত করার বিশাল ও ঐতিহাসিক কাজ হাতে নিয়েছিলেন। লাক্ষাদ্বীপ ভারতের অন্যতম সুন্দর জায়গা। দেশভাগের পর ১৯৪৭ সালে আমাদের প্রতিবেশী লাক্ষাদ্বীপে নজর রেখেছিল। তাদের পতাকা বহনকারী একটি জাহাজ সেখানে পাঠানো হয়েছিল। সর্দার প্যাটেলকে যখন বিষয়টি জানানো হয়েছিল তিনি কঠোর পদক্ষেপ নিতে আর সময় নষ্ট করেননি।
- ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর সর্দার প্যাটেলের স্মরণে 'স্ট্যাচু অফ ইউনিটি' দেশ ও বিশ্বকে উৎসর্গ করা হয়েছিল। এটি বিশ্বের উচ্চতম মূর্তি। যা 'স্ট্যাচু অফ লিবার্টির' তুলনায় উচ্চতায় দ্বিগুণ। বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি থাকা প্রতিটি ভারতীয়কে গর্বিত করে তোলে। প্রত্যেক ভারতীয়ের মাথা উঁচু থাকে। এক বছরে ২৬ লাখেরও বেশি পর্যটক 'স্ট্যাচু অফ ইউনিটির' পরিদর্শন করেছেন। আমাদের দেশ এবং রাজ্যগুলির পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের জন্যও এই 'স্ট্যাচু অফ ইউনিটি' গবেষণার বিষয় হতে পারে। সম্প্রতি টাইম ম্যাগাজিন বিশ্বজুড়ে ১০০ টি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থানের তালিকায় ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি'-কে তালিকাভুক্ত করেছে। ২০১৪ সাল থেকে প্রতিবছর ৩১ অক্টোবর 'জাতীয় ঐক্য দিবস' পালন করা হয়। এই দিনটি আমাদের কোনও মূল্যে দেশের ঐক্য, অখণ্ডতা এবং সুরক্ষা রক্ষার বার্তা দেয়।
- আমার প্রিয় দেশবাসী, দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐক্য জোরদার করতে সর্বদা খুব সচল এবং সজাগ রয়েছে আমাদের দেশ। আমার মনে আছে, ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে যখন এলাহাবাদ হাইকোর্ট রাম জন্মভূমির উপর রায় দিয়েছিল। তখন আপনারা কিছুটা স্মৃতি রোমান্থন করতে পারেন যে সে সময় কী পরিবেশ ছিল। একদিকে, উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু, সরকার, রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, সুশীল সমাজ, সমস্ত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি এবং সাধুরা সংযত ও ভারসাম্যমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন।
- উৎসব এমন একটি অনুষ্ঠান যা আমাদের জীবনে একটি নতুন চেতনা জাগ্রত করে। এবং বিশেষত দীপাবলি চলাকালীন প্রতিটি পরিবারে নতুন কিছু কেনার রীতি আছে। বাজার থেকে ছোটো বা বড় কোনওকিছু কেনার চল আছে। আমি একবার বলেছিলাম যে আমাদের স্থানীয় পণ্য কেনার চেষ্টা করা উচিত। আমরা আমাদের স্থানীয় জিনিসগুলি আরও কেনার চেষ্টা করি। স্থানীয় পণ্য কেনায় উদ্যোগী হওয়ার জন্য আমি আপনাদের অনুরোধ করছি। আমরা মহাত্মা গান্ধীর স্বপ্নকে জীবিত করে তোলার ক্ষেত্রে কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারি তা দেখুন।
- দীপাবলিতে আমরা সব ধরণের বাজি পোড়ায়। তবে, কখনও কখনও অসাবধানের কারণে আগুন লাগে। আঘাতও হতে পারে। আমি আপনাদের সকলকে অনুরোধ করছি নিজের যত্নের যত্ন নিতে। দীপাবলি অত্যন্ত উৎসাহের সাথে উদযাপন করুন। আমি আপনাদের অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)