Cyclone Dana: বৃহস্পতি রাত থেকে শুরু হবে ডানার 'ল্যান্ডফলের' প্রক্রিয়া, ওড়িশা, বাংলায় তাণ্ডব চালাতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিপজ্জনক এলাকার মানুষকে নিরাপদে সরাচ্ছে ওড়িশা প্রশাসন। ডানার স্থলভাগে আছড়ে পড়ার কার্যক্রম শুরু হবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে। শুক্রবার ভোরে ওই প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ওড়িশার ভিতরকণিকা পার্ক এবং ধামরার মধ্যে আছড়ে পড়বে বলে হাওয়া অফিসের তরফে সতর্ক করা হয়েছে।

Bay Of Bengal (Photo Credit: ANI/X)

ভুবনেশ্বর, ২৪ অক্টোবর: ক্রমশ স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে ডানা (Dana)। গভীর নিম্নচাপ থেকে বৃহস্পতি সকালেই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone) রূপান্তরিত হয়েছে ডানা। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ক্রমশ স্থলভাগের দিকে ডানা এগিয়ে আসছে। বৃহস্পতি রাতেই ওড়িশা (Odisha) উপকূলে ডানা আছড়ে পড়তে পারে বলে খবর। শুক্র ভোরেও স্থলভাগে ডানা আছড়ে পড়তে পারে বলে আবহাওয়া দফতরের তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ডানার প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) দক্ষিণ অংশ এবং ওড়িশার উপকূলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বিশেষ করে ওড়িশায় ব্যাপক প্রভাব পড়বে ডানার ঝাপটায়। ফলে ওড়িশার উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে জোর কদমে সরানো হচ্ছে স্থানীয়দের। কোনওভাবে যাতে প্রাণহানি না হয়, সেদিকে প্রশাসনের কড়া নজর রয়েছে।

আরও পড়ুন: Cyclone Dana: ভিতরকণিকা পার্ক এবং ধর্মা বন্দরের মাঝে আছড়ে পড়বে ডানা, জানাচ্ছে হাওয়া অফিস

বুধবার বিকেলে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি জানান, ডানার প্রভাবে সে রাজ্যে ৩০ শতাংশ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারেন। অর্থাৎ ওড়িশার ৩-৪ লক্ষ মানুষ বিপজ্জনক এলাকায় রয়েছেন। ফলে বিপজ্জনক এলাকা থেকে প্রত্যেককে সরানোর কাজ শুরু করেছে ওড়িশা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিপজ্জনক এলাকার মানুষকে নিরাপদে সরাচ্ছে ওড়িশা প্রশাসন। ডানার স্থলভাগে আছড়ে পড়ার কার্যক্রম শুরু হবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে। শুক্রবার ভোরে ওই প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ওড়িশার ভিতরকণিকা পার্ক এবং ধামরার মধ্যে আছড়ে পড়বে বলে হাওয়া অফিসের তরফে সতর্ক করা হয়েছে। ডানা আছড়ে পড়তেই তার গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিমি থাকবে। সেই সঙ্গে হবে প্রবল বৃষ্টি। ডানার 'ল্যান্ডফল' প্রক্রিয়া ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকাল পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

ডানার দাপট থেকে মানুষকে বাঁচাতে যখন উঠেপড়ে কাজ শুরু করেছে মোহন মাঝির সরকার, সেই ওড়িশায় কার্যত শোরগোল শুরু হয়েছে। মানুষ যে যেখানে পারছেন সরে যাচ্ছেন। ফলে রাস্তাঘাটে শুরু হয়েছে চরম ব্যাস্ততা।

ডানার তাণ্ডবের ভয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে ১৫ ঘণ্টা ধরে বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওড়িশা থেকেও সব বিমান বাতিল করা হয়েছে।