IPL Auction 2025 Live

Migrant Worker Couple Death: সাইকেলে করে বাড়ি ফিরতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিক দম্পতির, দুই ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক

লকডাউনে বাড়ি ফিরতে মরিয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা। এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে পাড়ি দেওয়ার জন্য কারও ভরসা পায়ে হাঁটা কিংবা সাইকেল। প্রতিদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু মিছিল লেগেই রয়েছে। পায়ে হাঁটতে গিয়ে বাড়ির কাছে পৌঁছে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছেন তো কেউ বাড়ি থেকে ৫০ কি.মি দূরে। আজ সকালেই ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই আবার প্রাণ হারালেন ১৪ জন শ্রমিক। রেল লাইনের ওপর ক্লান্ত শ্রমিকেরা ঘুমিয়ে পড়ায় মালগাড়ির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মারা গেলেন তাঁরা। দুঃসংবাদের এই শেষ নয়। ফের মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিক দম্পতির।

পথ দুর্ঘটনা/ প্রতীকী ছবি (Photo Credit: ANI)

লখনউ, ৮ মে: লকডাউনে (Lockdown) বাড়ি ফিরতে মরিয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা (Migrant Workers)। এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে পাড়ি দেওয়ার জন্য কারও ভরসা পায়ে হাঁটা কিংবা সাইকেল। প্রতিদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু মিছিল লেগেই রয়েছে। পায়ে হাঁটতে গিয়ে বাড়ির কাছে পৌঁছে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছেন তো কেউ বাড়ি থেকে ৫০ কি.মি দূরে। আজ সকালেই ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই আবার প্রাণ হারালেন ১৪ জন শ্রমিক। রেল লাইনের ওপর ক্লান্ত শ্রমিকেরা ঘুমিয়ে পড়ায় মালগাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা গেলেন তাঁরা। দুঃসংবাদের এই শেষ নয়। ফের মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিক দম্পতির।

লকডাউনে বেঁচে থাকার মতো রসদ ছিল না। বাধ্য হয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে সাইকেলে চেপেই উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) থেকে বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন ছত্তিশগঢ়ের শ্রমিক দম্পতি। সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে রাতের অন্ধকারে একটি গাড়ি তাঁদের ধাক্কা মারে। বুধবার রাতে গলফ সিটি থানা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ডিএসপি পূর্ব সোমান বর্মা মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা জানিয়ে বলেছেন, 'ছত্তিশগঢ়ের দুই শ্রমিক কৃষ্ণ ও তাঁর স্ত্রী প্রমিলার মৃত্যু হয়। তাঁদের তিন বছরের ছেলে নিখিল ও চার বছরের মেয়ে চাঁদনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় এইমুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।' আরও পড়ুন, মদ কিনতে গয়না দাবি, অস্বীকার করায় স্ত্রীকে পিটিয়ে মারল যুবক

উত্তরপ্রদেশের লখনউতে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন কৃষ্ণ ও প্রমিলা। জানকীপুরম এলাকার একটি বস্তিতে থাকতেন তাঁরা। স্থানীয়রা পুলিশ খবর দিলে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। খবর পেয়ে শেষকৃত্যের জন্য লখনউ পৌঁছয় মৃতদের পরিবার। কৃষ্ণের দাদা রাজকুমার জানিয়েছেন, 'লকডাউনে ভাইয়ের কোনও কাজ ছিল না। জমানো সব টাকা খরচ হয়ে গিয়েছিল। সে জন্যই বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা।'