CAA: আমি চাইলেও সরকার তার সিদ্ধান্ত বদলাবে না, তাই বিলের পক্ষেই ভোট দেব, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে সমর্থন জানিয়ে মন্তব্য অলিম্পিকজয়ী বক্সার মেরি কমের
উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে জ্বলছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (Citizenship Amendment Law) আগুন। এই আইনের প্রতিবাদে কলকাতার (Kolkata) রাজপথেও নেমেছে প্রতিবাদ মিছিল। সকাল থেকে চলছে বিক্ষোভ। আগামী ১৫ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে (Shillong) যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে নর্থইস্ট পুলিশ অ্যাকাডেমির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেই সফর তিনি বাতিল করেছেন।
নতুন দিল্লি, ১৩ ডিসেম্বর: উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে জ্বলছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (Citizenship Amendment Law) আগুন। এই আইনের প্রতিবাদে কলকাতার (Kolkata) রাজপথেও নেমেছে প্রতিবাদ মিছিল। সকাল থেকে চলছে বিক্ষোভ। আগামী ১৫ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে (Shillong) যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে নর্থইস্ট পুলিশ অ্যাকাডেমির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেই সফর তিনি বাতিল করেছেন।
অন্যদিকে ABP News-এ গতকাল অলিম্পিকজয়ী বক্সার (Boxer) মেরি কম (Mary Kom) এই আইনটির সমর্থন করেছেন বলে জানান । তিনি জানিয়েছেন, "আমি যদি বিরোধিতা করতাম। কিছুই হত না। কারণ সরকার এই বিলটি পাস করেই দিত। সরকার তার সিদ্ধান্ত বদলাবে না, আমার মনে হয় সরকারের পক্ষেই থাকা উচিত।" রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) যাওয়ার ভোট পর্বের আগে ঠিক এই মন্তব্যই করেছিলেন মনিপুরের মেরি কম।
ফুটবলার তথা হামরো সিকিম পার্টির প্রতিষ্ঠাতা বাইচুং ভুটিয়া (Bhaichung Bhutia) এই আইনের প্রসঙ্গে বেলছিলেন,"আমি বিলটি নিয়ে খুবই আশাহত ছিলাম। যদিও সিকিমের কথা এই বিলে লেখা নেই। কিন্তু অমিত শাহ রাজ্যসভায় সিকিমের নাম নিয়েছিলেন। এই আইনটি এখানেও লাগু হবে।"
শুক্রবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও জানিয়ে দিয়েছেন ‘‘বিজেপি বাংলার পাপ, দেশের অভিশাপ। অসমে ডিটেনশন ক্যাম্প করছে রাজ্য সরকার। সেখানে তাদের দলের সরকার ছিল বলে করতে পেরেছে। এখানে হতে দেব না।’’ ‘এ রাজ্যে নো এনআরসি, নো ক্যাব!’ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে সংসদের দুই কক্ষেই সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। কিন্তু বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছে পরাস্ত হন বিরোধীরা। বিল পাশ হওয়া আটকানো যায়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আইন পাশ করলেই তো হল না। কার্যকর করবে তো রাজ্য সরকার। বাংলার সরকার ওই আইন কার্যকর করবে না, করবে না, করবে না!” এই প্রসঙ্গে পাঞ্জাব ও কেরালার পথেই হাঁটল পশ্চিমবঙ্গ।