কামিনী রায়ের ১৫৫ তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাল গুগুল ডুডুল

আজ ১৫৫ তম জন্মদিন (155th Birth Anniversury) প্রথিতযশা বাঙালি কবি, সমাজকর্মী তথা নারীবাদী লেখিকা কামিনী রায়ের (kamini Roy)। তাই ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছুঁতেই ভারতের প্রথম মহিলা স্নাতক ডিগ্রীধারী ব্যক্তিত্বকে সম্মান জানাল গুগুল ডুডুল (Google Doodle)। "জনৈক বঙ্গমহিলা" ছদ্মনামে লিখতেন কামিনী দেবী। স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের পর ১৮৮৬ সালেই বেথুন কলেজের স্কুল বিভাগে শিক্ষয়িত্রীর পদে নিযুক্ত হন তিনি। পরবর্তীকালে তিনি ঐ কলেজে অধ্যাপনাও করেছিলেন।

কামিনী রায় (Photo Credits: Google)

নতুন দিল্লি, ১২ অক্টোবর: আজ ১৫৫ তম জন্মদিন (155th Birth Anniversury) প্রথিতযশা বাঙালি কবি, সমাজকর্মী তথা নারীবাদী লেখিকা কামিনী রায়ের (kamini Roy)। তাই ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছুঁতেই ভারতের প্রথম মহিলা স্নাতক ডিগ্রীধারী ব্যক্তিত্বকে সম্মান জানাল গুগুল ডুডুল (Google Doodle)। "জনৈক বঙ্গমহিলা" ছদ্মনামে লিখতেন কামিনী দেবী। স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের পর ১৮৮৬ সালেই বেথুন কলেজের স্কুল বিভাগে শিক্ষয়িত্রীর পদে নিযুক্ত হন তিনি। পরবর্তীকালে তিনি ঐ কলেজে অধ্যাপনাও করেছিলেন।

যে যুগে মেয়েদের শিক্ষা বিরল ঘটনা হিসেবে ভাবা হত, সেই সময়ে কামিনী রায় নারীবাদে (Faminism) বিশ্বাসী ছিলেন। তার অনেক প্রবন্ধেও যার প্রতিফলন ঘটেছে। তিনি নারী শ্রম তদন্ত কমিশন (১৯২২-২৩) এর সদস্য ছিলেন। কামিনী রায়ের জন্ম পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশের) বাকেরগঞ্জের বাসণ্ডা গ্রামে (বর্তমানে যা বরিশাল জেলার অংশ)। মাত্র ১২ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি করে বোর্ডিংয়ে পাঠানো হয় বালিকা কামিনীকে। ১৮৮০ খ্রীস্টাব্দে তিনি কলকাতা বেথুন স্কুল থেকে এন্ট্রান্স (মাধ্যমিক) পরীক্ষা ও ১৮৮৩ খ্রীস্টাব্দে এফ.এ বা ফার্স্ট আর্টস (উচ্চ মাধ্যমিক সমমানের) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বেথুন কলেজ থেকে তিনি ১৮৮৬ সালে ভারতের প্রথম নারী হিসাবে সংস্কৃত ভাষায় (Sanskrit) স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। ১৮৯৪ সালে কামিনীর সাথে স্টাটুটারি সিভিলিয়ান কেদারনাথ রায়ের বিয়ে হয়। আরও পড়ুন: মহিলা ফুটবল বিশ্বকাপ ২০১৯: গুগল ডুডলে আজ স্ট্যাচু ছেড়ে বেরিয়ে এসে লিবার্টির প্রতীক সেই মহিলাও ফুটবল খেলছে

মাত্র ৮ বছর বয়স থেকে কবিতা লিখতেন কামিনী। মাত্র পনের বছর বয়সে তার প্রথম কাব্য গ্রন্থ আলো ও ছায়া প্রকাশিত হয়। তার লেখা উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে - আলো ও ছায়া (১৮৮৯), নির্মাল্য (১৮৯১), পৌরাণিকী (১৮৯৭), মাল্য ও নির্মাল্য (১৯১৩), অশোক সঙ্গীত (সনেট সংগ্রহ, ১৯১৪), অম্বা (নাট্যকাব্য, ১৯১৫), দীপ ও ধূপ (১৯২৯), জীবন পথে (১৯৩০), একলব্য, দ্রোণ-ধৃষ্টদ্যুম্ন, শ্রাদ্ধিকী। ১৯২৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University) থেকে তাঁকে 'জগত্তারিণী স্বর্ণপদক'-এ সম্মানিত করা হয়। তিনি ১৯৩০ খ্রীস্টাব্দে বঙ্গীয় লিটারারি কনফারেন্সের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। এছাড়াও ১৯৩২-৩৩ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদেরও সহ সভাপতিও ছিলেন। ১৯৩৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর পরলোক গমন করেন কামিনী দেবী।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now